জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের অর্থায়নে ও পৃষ্ঠপোষকতায় সারা বাংলাদেশে উপজেলা পর্যায়ে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৪৫তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা।
এ কর্মসূচির আওতায় রয়েছে তরুণ বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক মডেলের প্রদর্শনী, বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক সেমিনার।
দেশের ৪৯৩টি উপজেলায় গত ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখ থেকে এ বিজ্ঞান মেলা শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬০টি উপজেলায় এ মেলা সম্পন্ন হয়েছে। এতে অংশ নিচ্ছে হাজার হাজার তরুণ শিক্ষার্থী, ক্ষুদে বিজ্ঞানী এবং জনসাধারণ।
এ কর্মসূচির আওতায় জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর ৪৯৩টি উপজেলায় বরাদ্দ প্রদান করেছে সাড়ে ৩ কোটি টাকা। বিজ্ঞান মেলাকে আরও সমৃদ্ধ করতে বিজ্ঞান জাদুঘর থেকে বিভিন্ন উপজেলায় প্রেরণ করা হচ্ছে মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য টেলিস্কোপ এবং ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনীর জন্য ৪ডি মুভি বাস ও মিউজিয়াম বাস। বিজ্ঞান মেলাকে কেন্দ্র করে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
এখানে তরুণ উদ্ভাবকরা তৈরি করছে পরিবেশ দূষণ রোধ ও সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সাশ্রয়ী প্রযুক্তি, কৃষি কাজে ব্যবহার্য আধুনিক ড্রোন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনযাত্রা সহজিকরণে সহায়ক নানা প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে তৈরি জটিল সমস্যার সমাধান, শিল্প কারখানার ঝুকিপূর্ণ কাজের জন্য আধুনিক রোবট, সৌরশক্তির আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব ব্যবহার ইত্যাদি অসংখ্য প্রকল্প।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেধার বিকাশ ঘটিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বান্ধব জাতি গঠনই জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।
দেশের তরুণ ও ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের এ বিজ্ঞান মেলায় সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে বিজ্ঞান চর্চা সম্প্রসারণ এবং ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আধুনিক প্রজন্মকে প্রশিক্ষিত করা এ বিজ্ঞান মেলা আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য, যা’ সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের রূপরেখা বাস্তবায়নে অত্যন্ত সহায়ক হবে। এসব বিজ্ঞান মেলায় শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবকদের আকর্ষনীয় পুরস্কার, সার্টিফিকেট ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে বিজয়ী প্রতিযোগিরা পরবর্তীতে জেলা পর্যায়ে বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিতে পারবে”।