টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে একটি বাসা থেকে প্রবাসীর স্ত্রী, তার মা ও সাবেক স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় গুরুতর আহত শিশু শাফিকে (৫) উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার দিঘর ইউনিয়নের কাশতলার খামারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী জয়নুদ্দিনের স্ত্রী সুমি আক্তার (২৫), জয়নুদ্দিনের মা জমেলা বেগম ও সুমির সাবেক স্বামী কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া পূর্বপাড়া এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে শাহজালাল ইসলাম সোহাগ (৩০)। এ সময় আহত হয় সুমির ছেলে শাফি।
বাসা থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার
উপজেলার দিঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মামুন বলেন, শাশুড়ি, ছেলের বউ এবং শাহজালাল নামে এক যুবকের মরদেহ বাসার একটি কক্ষ থেকে পাওয়া গেছে। বছর খানেক আগে প্রবাসীর স্ত্রী সুমি শাহজালালের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের টানে পালিয়ে যায়। পরে তারা বিয়ে করে প্রায় ৩-৪ মাস সংসার করে। পরে সুমির বাবা ওই যুবকের কাছ থেকে মেয়েকে প্রবাসী স্বামীর সংসারে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। তখন থেকে সে আবার প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে সংসার করছিল।
তিনি বলেন, বাসার বাইরের গেটে তালা লাগানো ছিল। সকালে দরজা না খোলায় তার স্বজনরা তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তিনজনের মরদেহ পায়।
স্থানীয় গিয়াস উদ্দিন বলেন, এক কক্ষে তিনজনের মরদেহ দেখতে পাই। এ সময় শিশু শাফি গুরুতর আহত হয়ে পড়েছিল। নিহত যুবক শাহজালাল সুমির সাবেক স্বামী। তিনি ঘটনার আগের দিন এ বাড়িতে এসেছিল।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, রাতের কোনো এক সময় তাদের খুন করা হয়েছে। মরদেহের পাশ থেকে দেশীয় অস্ত্র পাওয়া গেছে। এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশসহ সিআইডি, র্যাব, ডিবি, পিবিআই তদন্ত করছে।
টাঙ্গাইলের র্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর কোম্পানী কমান্ডার লে. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জমেলা, সুমি ও শাহজালাল নামের তিনজনের মরদেহ বাড়ির একটি ঘর থেকে পাওয়া গেছে। এ সময় সুমির শিশুসন্তানকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের পাশ থেকে ছুরি ও হাতুড়ি পাওয়া গেছে। সিআইডির ক্রাইম সিনের টিম ঘটনাস্থলে আসছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পরকীয়ার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।