
বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে সর্বদলীয় কমিটির পক্ষ থেকে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। অবরোধ চলাকালে সকাল ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
ফলে দূরপাল্লার বাস, ট্রাক ও স্থানীয় পরিবহন ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে অচল হয়ে পড়ে। যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে চাকরিজীবীরা ভোগান্তির শিকার হন।
রবিবার (২৪ আগষ্ট) সকাল ৮ টায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে হাজারো মানুষ উপজেলা সদর ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে জড়ো হন। পরে তারা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অবরোধ ঘোষণা করেন।
অবরোধে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা জানান, বাগেরহাটের চারটি আসন সংকুচিত করে সংসদীয় এলাকা পুনর্বিন্যাস করায় জেলার মানুষের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। জেলার আয়তন, জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক বাস্তবতা বিবেচনায় এ এলাকায় চারটি আসন থাকা যৌক্তিক বলে দাবি জানান তারা। বক্তাদের অভিযোগ, আসন কমিয়ে দেওয়ার ফলে বাগেরহাটের মানুষ দীর্ঘমেয়াদে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন কার্যক্রমে বঞ্চিত হবে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোল্লাহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেন। পুলিশের উপস্থিতিতে অবরোধকারীরা তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখেন। এ পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
অবরোধে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, “বাগেরহাট একটি ঐতিহাসিক ও সম্ভাবনাময় জেলা। এই জেলার মানুষকে কখনোই প্রান্তিক অবস্থানে রাখা যায় না। তাই যত দ্রুত সম্ভব ৪টি আসন পুনর্বহাল করতে হবে। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
উক্ত সর্বদলীয় অবরোধ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, মোল্লাহাট উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সভাপতি শেখ হাফিজুর রহমান , সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন আল রশীদ, উপজেলা জামায়াতের আমীর কৃষিবিদ হাসমত আলী সরদার, যুব বিভাগের সেক্রেটারি মিয়া পারভেজ আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মাওলানা নিজাম উদ্দিন, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান সহ সকল রাজনৈতিক দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মেহেদী হাসান রাব্বী
বাগেরহাট প্রতিনিধি