দেশে উন্নয়নের যে গতিধারা সৃষ্টি হয়েছে তা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ অচিরেই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে সকল বাংলাদেশীকে ভেদাভেদ ভুলে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে লালন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, আত্মপ্রত্যয়ী ও আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে অংশগ্রহণ করার আহ্বানও জানান তিনি।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পেরিয়ে ৫১ বছরে পদার্পণ করল।
এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী দেশে এবং প্রবাসে বসবাসকারী সকল বাংলাদেশী নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি।
স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতাকে, যাদের সুযোগ্য দিক নির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং ২ লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনের আত্মত্যাগের ঋণ কখনও শোধ হবে না উল্লেখ করে তিনি সম্মান জানান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। কৃতজ্ঞতা জানান সকল বন্ধুরাষ্ট্র, সংগঠন, সংস্থা, ব্যক্তি এবং বিশেষ করে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বোতভাবে সহায়তা করেছিলেন।