বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি, ভ্রমণ সতর্কতা যুক্তরাজ্যের

0
19
বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার
বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি, ভ্রমণ সতর্কতা যুক্তরাজ্যের

বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি নিয়ে ভ্রমণ সতর্কবার্তা দিয়েছে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন বিদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণবিষয়ক পরামর্শে এই সতর্কতা জানিয়েছে।

ভ্রমণ নিয়ে সতর্ক করে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন বলেছে, ‘চারপাশ সম্পর্কে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে পুলিশের স্থাপনাগুলোর আশপাশে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বড় ধরনের সমাবেশ এবং পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি–সংবলিত অন্যান্য জায়গা এড়িয়ে চলুন।’

সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের প্রত্যন্ত এলাকায় সহিংসতা ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলে হালনাগাদ করা সেখানে জরুরি ছাড়া ভ্রমণে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এই সতর্কবার্তা দেওয়ার কারণ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে যুক্তরাজ্যের স্বার্থ ও ব্রিটিশ নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি রয়েছে। সেই সব গোষ্ঠী ও ব্যক্তিও হামলা চালাতে পারেন, যাঁরা যুক্তরাজ্য ও ব্রিটিশ নাগরিকদের তাদের টার্গেট মনে করেন।

ব্রিটিশ নাগরিকদের সব সময় চারপাশ সম্পর্কে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। বিদেশে কীভাবে নিরাপদ থাকতে হয় এবং সন্ত্রাসী হামলার সময় কী করতে হবে, সে বিষয়ে যুক্তরাজ্যের কাউন্টার টেররিজম পুলিশের পরামর্শ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন বলেছে, ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টে বাংলাদেশজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা হয়, যাতে অনেক মৃত্যু ও বহু আহত হয়েছে।

পরিস্থিতি এখনো অস্থির রয়েছে উল্লেখ করে হাইকমিশন বলেছে, রাজনৈতিক মিছিল ও সমাবেশ এখনো অব্যাহত রয়েছে। এগুলো দ্রুত সহিংস হয়ে উঠতে পারে, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। দেশজুড়ে শহর ও নগরে বিক্ষোভ ও ধর্মঘটের সময় সহিংসতা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে পারে। এসব ঘটনা প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অস্থিরতার একটি প্রভাব পুলিশের কর্মকাণ্ডের ওপর পড়েছে উল্লেখ করে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন বলেছে, দেশজুড়ে কিছু থানায় উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেগুলোর বেশির ভাগ আবার সচল হয়েছে। তবে সব পুলিশ সদস্য কাজে ফেরেননি।