বাংলাদেশকে নিয়ে যেকোনো ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সঠিকভাবে মিডিয়াতে প্রচার করতে হবে।
রবিবার (৬ই অক্টোবর ২০২৪) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘দ্যা ক্রস-বর্ডার স্প্রেড অভ মিসইনফরমেশন ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক সেমিনারে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়ে অপপ্রচার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এই আন্দোলনকে নিয়ে ভারতসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী অভ্যুত্থানের অন্যতম আন্দোলনকারী এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।
ভারতের পত্রিকা ‘ইকোনমিক টাইমস’ কোনো ধরনের তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই মাহফুজ আলম সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছে। সেই একই সুর আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রতিফলিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ ধরনের অপপ্রচারকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যা কোনোক্রমে কাম্য নয়। তিনি এ ধরনের অপপ্রচারের নিন্দা জানান।
সাম্প্রতিক অভ্যত্থানের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই আন্দোলন কেবল ৩৬ দিনের আন্দোলন নয়, এই আন্দোলন হচ্ছে গত ১৬ বছরে মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ। এই অভ্যুত্থান কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের নেতৃত্বে হয়নি। সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়েছে।
বিভিন্নভাবে এই অভ্যুত্থান ও অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানকে ইসলামিক উগ্রবাদের সঙ্গে মিলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
যা একেবারে সত্য নয়। সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানকে বিপ্লবে রূপ দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
দক্ষিণ এশিয়ায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা যদি গণতান্ত্রিক দক্ষিণ এশিয়া তৈরি করতে চাই, তাহলে আমাদের অবশ্যই সব ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।