বর্তমান কূটনীতি হবে বাণিজ্য-অর্থ সংক্রান্ত

0
61
বর্তমান কূটনীতি হবে বাণিজ্য-অর্থ সংক্রান্ত
বর্তমান কূটনীতি হবে বাণিজ্য-অর্থ সংক্রান্ত

ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও পণ্যের গুণগত মান বাড়াতে গবেষণার উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান কূটনীতি হবে বাণিজ্য ও অর্থ সংক্রান্ত। বাণিজ্য মেলার নতুন স্থানে ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের খরচ ও ব্যয় কমবে বলেও জানান সরকারপ্রধান।

শনিবার (১ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণিজ্য মেলা-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।

এর আগে গতকাল (শুক্রবার ৩১ ডিসেম্বর) ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে সরকারপ্রধান জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়োপযোগী এবং বিচক্ষণ উদ্যোগের ফলে বিনিয়োগ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ীদের কাছেও একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। আমরা বিনিয়োগ ও রপ্তানিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি।

তিনি বলেন, সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নয়নের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মর্যাদাশীল ‘উন্নয়নশীল’ দেশে উন্নীত হওয়ার জাতিসংঘের চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করেছে। আমরা দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশে’ পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপক সম্প্রসারণ প্রয়োজন।

২৬তম বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

এ মেলা বাণিজ্য সম্প্রসারণ, পণ্য বহুমুখীকরণ, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ মেলা দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের তাদের পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধাদি এবং নতুন উদ্ভাবন সম্পর্কে ক্রেতাদের অবহিত করার সুযোগ সৃষ্টি করবে। একইসাথে ক্রেতারাও এ বৃহৎ আয়োজন থেকে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে পণ্য ক্রয়ের সুবিধা পাবেন। এ মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশি উদ্যোক্তারা প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের পণ্যের মানোন্নয়নে তৎপর হবেন এবং আন্তর্জাতিক স্থানীয় পণ্যকে প্রতিযোগিতা সক্ষম করার প্রয়াস পাবেন।

তিনি আরও বলেন, গত দুই বছরে বিশ্ব ভয়ানক কোভিড-১৯ মহামারির সম্মুখীন হয়েছে, যা কার্যত ব্যবসার গতি কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও আমাদের সরকারের সময়োপযোগী ও সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে এবং প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়ে রপ্তানি কার্যক্রমের গতিশীলতা বজায় রাখা হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ডিআইটিএফ-২০২২ স্থানীয় ও বিদেশি উৎপাদনকারী এবং ক্রেতাদের মধ্যে গভীর আগ্রহ এবং উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।

বাণীতে তিনি ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) ২০২২’র সার্বিক সাফল্য কামনা করেন তিনি।