সিলেটে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া তিস্তার পানিও বাড়ছে। কুড়িগ্রাম, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং সুনামগঞ্জের নদীগুলোতেও একইভাবে পানি বেড়েছে।
ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে ফুলেফেঁপে উঠছে নদ-নদী। এর মধ্যে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়া গেল ২৪ ঘণ্টায় একই নদীর সিলেট পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কুশিয়ারা নদীর পানি গেল ২৪ ঘণ্টায় আমলসীদ পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ৪৬ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৫৩ সেন্টিমিটার ও শেরপুর পয়েন্টে ৫৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
সিলেটের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল সকাল ৬টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও কয়েকদিন থেকে থেমে আসা বৃষ্টিতে বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। গতকাল সকাল ৬টা ও ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর ফলে ভাটি এলাকায় বাড়ছে পানির চাপ। প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। তিস্তার চর ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
পাউবো ডালিয়া পয়েন্ট সূত্র মতে, গতকাল বিকালে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহের রেকর্ড করা হয়। ডালিয়ার ভাটি এলাকায় ধীরে ধীরে পানি প্রবেশ করছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছেন তিস্তাপাড়ের মানুষ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুুল্লাহ আল মামুন জানান, ২৪ ঘণ্টায় দুধকুমর নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে পানি ৬৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।