বঙ্গবন্ধু আইনজীবী হতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু ভাষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে সম্পৃক্ততার কারণে তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি।
তিনি বলেন, জীবনের দীর্ঘ একটা সময় তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন। যে কারণে আমরা তাকে খুব কমই কাছে পেয়েছি। যে বয়সে শিশুরা বাবার হাত ধরে স্কুলে যায়, আমরা সে সুযোগ পাইনি।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু ও বিচার বিভাগ এবং ন্যায়কণ্ঠ শীর্ষক মুজিববর্ষ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গভবন থেকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, স্বাধীন সুপ্রিম কোর্ট না থাকলে একটি জাতি কখনও স্বনির্ভর হতে পারে না। এই ভূখণ্ডের কোনো উন্নয়ন পাকিস্তান কখনো চায়নি। বঙ্গবন্ধু ছাত্রাবস্থায়ই এটা উপলব্ধি করেন।
বিচার বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার পেয়েছি, এটাই বড় কথা। এ জন্য জাতির কাছে, বিচার বিভাগের কাছে এবং আমার দলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, আমি নিজেও অনেক মামলার আসামি ছিলাম। খালেদা জিয়া আমার নামে অনেক মামলা দিয়েছিলেন। দফায় দফায় মামলার শিকার হয়েছি।
বিচার কার্যের রায়ের যে ভাষা, শব্দ আছে সেগুলো যথাযথভাবে অনুবাদ করার জন্য অনুবাদ রাখা দরকার। এজন্য একটা আলাদা উইং করা যেতে পারে। সেই অনুবাদকদের প্রশিক্ষণ দেয়া যেতে পারে।
দেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলে মানুষ বিচার পাচ্ছে। ন্যায়বিচার মানুষের প্রাপ্য অধিকার, সেটা যেন মানুষ পায়। আমরা ভুক্তভোগী, এ কারণে আমরা জানি বিচার না পাওয়ার কষ্টটা কী। এ কারণে এ বিষয়ে আপনারা আন্তরিক থাকবেন এটাই আমরা চাই।
মুজিববর্ষের স্মরণিকা ন্যায়কণ্ঠ প্রকাশিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানান। বক্তব্য শেষে তিনি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।
বঙ্গবন্ধু ছাত্রাবস্থায়ই এটা উপলব্ধি করেন।