খালেদা জিয়ার নাতনি ও বিএনপি নেত্রী পাপিয়াকে নিয়ে সম্প্রতি তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান যে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন তা তিনি প্রত্যাহার করবেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বক্তব্য প্রত্যারের ‘প্রশ্নই ওঠে না।’
আজ সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিবিসিকে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, তিনি এসব বক্তব্য দিয়ে কোনো ভুল করেননি। এগুলো তিনি প্রত্যাহারও করবেন না কিংবা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে সরকার ও দলের ওপর থেকে কোনো চাপও নেই।
সম্প্রতি একটি ইউটিউব ভিডিওতে খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। পরে গত শনিবার একটি টিভি টকশোতে উপস্থিত বিএনপির সাবেক নারী এমপি সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়াকে ‘মানসিক রোগী’ বলে অভিহিত করে বিতণ্ডায় লিপ্ত হন তিনি। এই দুটি ঘটনা নিয়ে গত ২ দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগেরমাধ্যমে তুমুল সমালোচনা হচ্ছে।
মুরাদ হাসানের ভাষায়, তিনি বক্তব্য দেয়ার আগে তাকে ‘নোংরা ভাষায়’ আক্রমণ করে কথা বলেছেন শীর্ষস্থানীয় ওই বিএনপি নেতার কন্যা।
তিনি বলেন, আমার মেয়ের বয়সের চেয়ে সে এক বছরের বড়। আমার কন্যার মতো বয়সী হয়ে যে নোংরা ভাষায় আমাকে নিয়ে ট্রল করেছে, সেটা তো কুচিন্তনীয়। এটা আমার কাছে খুব দুঃখজনক মনে হয়েছে। তার সম্পর্কে সামাজিক মাধ্যমের অনেক ছবি আমার কাছে চলে এসেছে।
এ ছাড়া টকশোতে হাজির হয়ে বিএনপি নেত্রী পাপিয়াকে আক্রমণ করে মন্তব্য করার বিষয়ে মুরাদ হাসান বলেন, আপনি যদি ওই টকশোটা দেখেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন আমি কেন বলেছি। আমি একজন চিকিৎসক। সেই হিসাবে তার সম্পর্কে আমার যে অবজারভেশন, সেটা আমি বলেছি। সেটা ভুল হলে আমি দুঃখিত।
তবে সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়ার বক্তব্য, মুরাদ হাসান যদি সত্যিকার অর্থে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হতেন, তাহলে তিনি ‘দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এ ধরনের মন্তব্য তিনি করতে পারতেন না।’
যেসব বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, সেগুলোকে ভুল বলে স্বীকার করেন কি না কিংবা প্রত্যাহার করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না।’