যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মানির প্রতিষ্ঠান বায়ো-এনটেক যৌথ বিবৃতি থেকে জানা যায় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ রুখতে ফাইজারের তিন ডোজ সক্ষম।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) এমনটি জানিয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক দুই প্রতিষ্ঠান।
ওমিক্রনের ওপর ফাইজারের টিকার কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণাগারে পরীক্ষার পর প্রাপ্ত ফলের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফাইজারের টিকার দুই ডোজ নতুন ও অতিসংক্রামক ধরনটির বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারছে না। তবে তৃতীয় ডোজটি দেয়ার পরই দেখা গেছে আক্রান্তের শরীরে ওমিক্রন প্রতিরোধী ক্ষমতা বেড়ে যায় ২৫ শতাংশ।
কমপক্ষে এক মাস আগে ফাইজারের তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নেয়া ব্যক্তির রক্তের নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেছে, তাদের করোনার নতুন ধরণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম।
ফাইজারের শীর্ষ কর্মকর্তা আলবার্ট বৌরলার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা ফাইজারের প্রথম দুই ডোজ নিয়েছেন তাদের দ্রুত বুস্টার ডোজ নিয়ে নিতে হবে। এই ডোজই ওমিক্রনের বিরুদ্ধে মানব শরীরে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম।
ফাইজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুস্টার ডোজ নেয়ার পরামর্শ থাকলেও ওমিক্রন প্রতিরোধী টিকা তৈরিতে তাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এই প্রতিবেদনের সঙ্গে সাউথ আফ্রিকায় করোনা গবেষণা সংস্থা আফ্রিকা হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকদের দেয়া তথ্যের অনেক মিল রয়েছে। সাউথ আফ্রিকার গবেষকরা জানিয়েছেন, ‘করোনার প্রথম দুই ডোজের প্রতিরোধ শক্তিকে নতুন ধরণ এড়িয়ে যেতে পারলেও তৃতীয় ডোজটি সংক্রমণকে রুখে দিতে পারে।’
গত আগস্টে সাউথ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরন শনাক্ত করেন বিজ্ঞানীরা। প্রতিবেশী বোতসোয়ানার পাশাপাশি হংকংয়েও ছড়িয়েছে বি ওয়ান ওয়ান ফাইভ টু নাইন নামের ধরনটি। গত ৩০ আগস্ট দেশটিতে সি ওয়ান টু নামের নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়েছিল।
পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নতুন ধরনটির নাম দেয় ওমিক্রন।