পদ্মা সেতুর নির্মাণ পরিকল্পনার প্রথম দিন থেকেই ষড়যন্ত্র চলছে। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে বলে মিথ্যা অপবাদ আমাদের দিয়েছিল। দুর্ভাগ্য, আমাদের একজন স্বনামধন্য মানুষ, যাকে আমি সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা দিয়েছিলাম। সেই ড. ইউনূস বেইমানি করেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে থাকতে না পেরে তিনি এ কাজ করেছেন। তিনি (ড. ইউনূস) তার বন্ধু তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের স্বামীর ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে তিন লাখ ডলার ডোনেশনও দিয়েছিলেন। হিলারি ক্লিনটন আমাকে ফোনও করেছেন। আমার কাছে ধর্ণাও দেন এবং তাকে আমি আইনের কথা বলেছি। অন্যদিকে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে বলে তারা বিশ্ব ব্যাংকের কাছে বার বার মেইল পাঠিয়েছেন।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)-এর ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম যে, দুর্নীতির প্রমাণ করতে হবে। পরে কানাডার আদালতে এটা ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু ড. ইউনূসের প্ররোচনায় বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ায়। আমরা বলেছিলাম, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করব। কাজেই খুব স্বাভাবিকভাবে অনেকেই ভেবেছিল এটা বোধহয় আমরা কোনো দিন করতে পারব না। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমরা কিন্তু সেটা করে ফেলেছি।’
২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে ঘিরে নাশকতার পরিকল্পনার তথ্য আছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এজন্য সব বাহিনীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে তিন বাহিনীর প্রধানসহ সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল- আমাদের কাছে তথ্য আছে, এমন একটা ঘটনা ঘটাবে যাতে আমরা উদ্বোধনটা করতেই না পারি।