প্যারিসে অলিম্পিকের জমকালো উদ্বোধন

0
3
প্যারিসে অলিম্পিক
প্যারিসে অলিম্পিকের জমকালো উদ্বোধন

প্যারিসে অলিম্পিক গেমসকে কেন্দ্র করে ক্রীড়াবিদ, দর্শনার্থী ও অতিথিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে আইফেল টাওয়ার সংলগ্ন সেইন নদীর তীর। অলিম্পিকের ইতিহাসে ব্যতিক্রম এক চোখধাঁধানো উদ্বোধন।

সকাল থেকেই প্যারিসের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। অনুষ্ঠানস্থলে বৃষ্টিতে ভিজেছে সবাই। অলিম্পিক গেমস শুরুর ঘণ্টা কয়েক আগে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্যারিসের দ্রুতগতির রেল নেটওয়ার্ক। কিছু ট্রেন যাত্রা বাতিলও করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে ঝামেলা পোহাতে হলেও দর্শকদের আসা বন্ধ করা যায়নি।

এতো দিন অলিম্পিকের উদ্বোধন মানেই ছিল স্টেডিয়ামের ভেতরে জমকালো সবকিছু। প্যারিস সেই ভাবনা থেকে সরে এসে এবার সবাইকে দারুণভাবে চমকে দিয়েছে। শহরের প্রধান নদী সেইনকে ঘিরে ছিল সবকিছু। সঙ্গে যোগ হয়েছে ঐতিহ্যবাহী আইফেল টাওয়ার।

গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ফ্রান্সের অন্যতম সেরা ফুটবলার জিনেদিন জিদানের হাতে ছিল মশাল। যা তিনি তুলে দেন তিন শিশুর হাতে। তাদের হাত থেকে সেই মশাল চলে যায় এক অচেনা ব্যক্তির হাতে। গোটা অনুষ্ঠানে জুড়ে তাকে চেনা যায়নি, ঢাকা ছিল মুখ।

নদীতে সব অনুষ্ঠান হওয়ায় জায়ান্ট স্ক্রিনই ছিল বড় ভরসা। সেখানে শহরের বিভিন্ন স্থাপত্যকে তুলে ধরা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে জল দিয়ে বিশেষ পর্দা তৈরি করা হয়েছিল। সেই পর্দা ভেঙে পন্ট ডি’ এলিনা ব্রিজের নিচ দিয়ে প্রথমে এগিয়ে এলো গ্রিস। এরপর এলো উদ্বাস্তুদের দল। আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, জার্মানি একটি বড় নৌকা করে একই সঙ্গে এলো।

একে একে বিভিন্ন দেশের নৌকা যখন ওই জলের পর্দা ভেদ করে এগিয়ে আসছে, সেই সময় অন্য দিকে সুরের ভেলাতে ভেসেছেন লেডি গাগা। বাংলাদেশ দলও পাড়ি দিয়েছে সেইন নদী। আর্চার সাগর ইসলামের হাতে ছিল লাল-সবুজ পতাকা। সবার মধ্যে ছিল উচ্ছ্বাসের ছোঁয়া।

সেইন নদীর ধারে বিশেষ তথ্যচিত্র দেখানো হয়। নোটরডামের সামনে পারফর্ম করলো মুল্যাঁ রুজ। ১৮২০-র দশকে সৃষ্ট বিশেষ নাচ আজ ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। ফরাসি ভাষা জানা জনপ্রিয় শিল্পী আয়া নাকামুরা পারফর্ম করলেন।

ফ্রান্সের অন্যতম সেরা সংগ্রহশালা গ্রাঁ প্যালাই থেকে জাতীয় সংগীত গাইলেন অ্যাক্সেল সাঁ-সিরেল। ফ্রান্সের ইতিহাসে ১০ জন সবচেয়ে বিখ্যাত নারীর মূর্তিও উন্মোচন করা হলো।