পৌর আইন লঙ্ঘন করে অন্যের জায়গা জড়িয়ে ভবণ নিমার্ণকারী মালিকের বিরুদ্ধে পৌর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ

0
6

পৌর আইন লঙ্ঘন করে অন্যের জায়গা জড়িয়ে ভবণ নিমার্ণকারী মালিকের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে গোপালগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

গোপালগঞ্জ পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের শিক্ষক পল্লী এলাকায় ৯৬নং হোল্ডিং এর বাড়ির মালিক নজরুল ইসলাম খানের ছেলে মোঃ ডালিম খান, পৌরসভা কর্তৃক অনুমোদিত নকশা বহির্ভূত ও পার্শ্ববর্তী এ্যাড. নূর হোসেন দুলালের (হোল্ডিং নং – ৯৯) বাড়ির বেশ কিছু জায়গা অবৈধভাবে দখল করে ইমারত নির্মাণ করলেও অদৃশ্য কারণে অভিযুক্ত মোঃ ডালিম মিয়ার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি মর্মে অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এ্যাড. নূর হোসেন দুলাল গণমাধ্যমকে বলেন, আমি একজন আইনজীবী, পেশাগত কারণে ঢাকায় বসবাস করি।

আমার জায়গার পার্শ্ববর্তী বাড়ির মালিক মোঃ ডালিম খান, ১৯৯৬ সালের ১৮ জুলাই প্রকাশিত ১৮ (আঠারো) ধারার চার (ঘ) নং উপধারার বিধান যাহা পরবর্তীতে প্রকাশিত ও ২০২০ সাল এর ২১ (একুশ) এর খ (৫) উপধারার বিধানে পশ্চাতে সীমানা থেকে ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি দূরত্ব রেখে বাড়ি করার সুস্পষ্ট বিধান থাকা সত্ত্বেও উক্ত বিধান লংঘন করায় আমি গত ২২/০৫/২০২৩ ইং তারিখে গোপালগঞ্জ পৌর মেয়র বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করি।

পরবর্তীতে, পৌর কর্তৃপক্ষ একাধিকবার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ ডালিম খানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পান। পৌর কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর দ্বিতীয় তফসিলের ৩৫.৩৬ ধারার সুস্পষ্ট লংঘন করা ও পৌরসভা কর্তৃক অনুমোদিত প্লান মোতাবেক কাজ না করার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে উক্ত অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য গত ০৬/০৬/২০২৩ ইং তারিখে ২০২২ — ২০২৩/৫২৭/৪(৩) নং স্মারক মূলে প্রথম নোটিশ ও গত ১৪/০৯/২০২৩ ইং তারিখে ২০২২ -২০২৩/১২৬/৪(৪) নং স্মারক মূলে দ্বিতীয় নোটিশ দেন।

গোপালগঞ্জ পৌর মেয়র কর্তৃক গত ১৪/০৯/২০২৩ ইং তারিখে স্বাক্ষরিত নং ২০২২ — ২০২৩/১২৬/৪(৪) স্মারকের অনুলিপি গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, ১০ নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর ও অভিযোগকারী হিসেবে আমাকেও একটি কপি দেওয়া হয়েছে।

গোপালগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক দুই বার নোটিশ পেয়েও অভিযুক্ত মোঃ ডালিম খান অবৈধ স্থাপনা না ভেঙ্গেই পৌর আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আমার জায়গা জড়িয়ে বাড়ি নির্মাণ করেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় অভিযুক্ত মোঃ ডালিম খান উক্ত বিষয়ে পৌর নির্দেশ অমান্য করে ইমারত নির্মাণ কাজ চালিয়ে যান।

পরবর্তীতে গোপালগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত মোঃ ডালিম খানের বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ায় নিরুপায় হয়ে আমি উচ্চ আদালতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে একটি রীট দায়ের করি। রীট নং – ১০৩৮৯/২০২৩, উক্ত রীট এর বিষয়ে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগ রীট শুনানী অন্তে ৪ সপ্তাহের একটি রুল জারি করেন।

ভুক্তভোগী এ্যাড.নূর হোসেন দুলাল আরো বলেন, অভিযুক্ত মোঃ ডালিম খান আমাকে সামাজিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছেন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অবৈধভাবে নির্মিত অংশ দ্রুত অপসারণ সহ দোষীকে আইনের আওতায় নেওয়ার জোর দাবি জানান। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ ডালিম খানের ব্যবহৃত মুঠোফোন ০১৯……৯৭৭ নম্বরে একাধিক বার কল দিয়ে বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

কে এম আবু বক্কার
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.