ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
সোমবার(৪ জুলাই) সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে মৃত্যু তার হয়।
কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। গেল ১৪ জুন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এর আগে রোববার সকালে আচমকাই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়, বেড়ে যায় শ্বাসকষ্ট। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। ডায়ালিসিসও করতে হয়। শরীরে ছিল একাধিক সংক্রমণ। সোমবার সকালে নতুন করে ফুসফুসে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ধরা পড়ে।
চিকিৎসকরা সে সময় জানান, তার হৃদযন্ত্র ও কিডনির অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। ডায়ালিসিসের প্রয়োজন থাকলেও ডায়ালিসিস দেওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না তিনি। তাকে রাখা হয়েছিল ১০০ শতাংশ ভেন্টিলেশন সাপোর্টে।
১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশের বগুড়ায় জন্ম তরুণ মজুমদারের। দীর্ঘ ৬০ বছরের ক্যারিয়ারে বানিয়েছেন অসংখ্য ছবি। দীর্ঘ ২ দশকের বেশি সময় কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালে ছবির জগতে পা রেখেই বানান উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেনের সঙ্গে ‘চাওয়া পাওয়া’র মতো কালজয়ী ছবি। ১৯৬২ সালে ‘কাচের স্বর্গ’ বানিয়েছিলেন তরুণ মজুমদার যে ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৯০ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন তিনি। ২০২১ সালে দুটি খন্ডে প্রকাশিত হয় তার ৯৫ পৃষ্ঠার সুবিশাল স্মৃতিকথা।
বালিকা বধূ, নিমন্ত্রণ, কুহিলি, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, ফুলেশ্বরী, গণদেবতা, তার অন্যতম সিনেমাগুলির কয়েকটি। তরুণ মজুমদারের স্ত্রী সন্ধ্যা রায় নিজেও প্রভাবশালী প্রতিভা সম্পন্ন অভিনেত্রী। তিনিও তার ২০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার হাত ধরেই উঠে এসেছে মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, তাপস পালের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।