পবিত্র শবে বরাত -এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য

0
38
পবিত্র শবে বরাত
আজ পবিত্র শবে বরাত

শবে বরাত – শব্দ দুইটি এসেছে ফার্সি ভাষা থেকে। ফার্সিতে ‘শব’ শব্দটির অর্থ রাত্রি আর ‘বরাত’ অর্থ নাজাত বা মুক্তি। সুতরাং ‘শবে বরাত’ এর অর্থ হলো নাজাতের রাত বা মুক্তির রাত। শবে বরাতের আরবি হলো ‘লাইলাতুল বারাআত’।

আরবি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে ‘শবে বরাত’ পালন করা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা এ রাতে ইবাদতের মাধ্যমে ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে প্রাথনা করেন।

হাদিস শরিফে বলা হয় ‘নিসফ শাবান’ বা ‘শাবান মাসের মধ্য দিবসের রজনী’। এই রাত নিয়ে নানা মত রয়েছে।

নবীজি (সা.) বললেন, ‘এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত। এ রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন, ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করে দেন, অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন’

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) রমজান মাস ব্যতীত অন্য কোনো মাসে পূর্ণ রোজা রাখতে দেখিনি এবং শাবান মাসের চেয়ে অন্য কোনো মাসে এতো বেশি রোজা রাখতে দেখিনি। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম

শবেবরাতের আলাদা কোনো নামাজ নেই। নির্দিষ্ট সূরা দিয়ে নির্দিষ্ট রাকাত নামাজ পড়ার রীতি ভুল প্রচলন।পারলে সারা রাত ইবাদত-বন্দেগি করা; সেটা হতে পারে কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, নফল নামাজ, দোয়া-দরুদ, তওবা-ইস্তেগফার, দান-সদকা, উমরি ক্বাজা নামাজ, কবর জিয়ারত ইত্যাদি।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন শাবানের মধ্য দিবস আসবে, তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত করবে ও দিনে রোজা পালন করবে। (ইবনে মাজাহ)।

নবী করিম (সা.) বলেছেন, ১৪ শাবান দিবাগত রাত যখন আসে, তখন তোমরা এ রাত ইবাদত–বন্দেগিতে কাটাও এবং দিনের বেলায় রোজা রাখো। কেননা, এদিন সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং আহ্বান করেন, ‘কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আছো কি? আমি ক্ষমা করব; কোনো রিজিক প্রার্থী আছ কি? আমি রিজিক দেব; আছ কি কোনো বিপদগ্রস্ত? আমি উদ্ধার করব।’ এভাবে ভোর পর্যন্ত আল্লাহ মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে আহ্বান করতে থাকেন। (ইবনে মাজাহ: ১৩৮৪)।