পদ্মার চর দখল করে পুকুর

0
30
পদ্মার চর দখল

রাজশাহীতে পদ্মার চর দখল করে খনন করা হয়েছে পুকুর। এক মাস আগে এ পুকুরটি খনন করা হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর শ্রীরামপুরে। একেবারে মাঝচরেই চর কেটে চারদিকে পাড় তুলে পুকুরটি করা হয়েছে। পুকুরের চারদিকে বাঁশের বেড়াও দেওয়া হয়েছে, যাতে সেখানে জনসাধারণ প্রবেশ করতে না পারে।

পাশাপাশি পুকুরের মাছ পাহারা দেওয়ার জন্য টিনের ঘরও নির্মাণ করা হয়েছে পাড়ে। তবে পুকুর মালিক ডলার হোসেনের দাবি, জমিটি তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। এ কারণে সেখানে পুকুর খনন করেছেন। রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মার পাড়ের নিচ থেকে নদীর জমি। পাড়ের নিচের জমিগুলো খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত।

ব্যক্তিগত সম্পত্তি হলেও পদ্মার ভিতরে গেলেই সেটি খাসে পরিণত হবে। তার পরও কীভাবে জেগে ওঠা চরের জমিতে পুকুর খনন হলো আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’ দেখা গেছে, শ্রীরামপুরে কেন্দ্রীয় কারাগারের পেছনে দক্ষিণ পাশে পদ্মার মাঝে জেগে ওঠা চরে একটি পুকুর খনন করা হয়েছে। ওই চারদিকে পাড় তুলে মাঝখানে মাটি কেটে পুকুরটি করা হয়েছে। ডলার হোসেন এক মাস আগে পুকুরটি খনন করিয়েছেন জেগে ওঠা চর দখল করে।

পদ্মার চরে ঘুরতে আসা আলী এহসান নামে এক যুবক বলেন, ‘নদী দখল করে এর আগে নানা স্থাপনা গড়ে উঠেছে। কিন্তু এভাবে চর দখল করে পুকুর গড়ে তোলার দৃশ্য কখনো চোখে পড়েনি। এবার দেখলাম চরের মধ্যে প্রভাবশালীদের থাবায় গড়ে উঠেছে পুকুর। এতে নদীর সৌন্দর্য নষ্ট যেমন হবে তেমনি বর্ষা মৌসুমে পানির গতিপথও হয়তো পরিবর্তন হবে।’

রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, ‘পদ্মার চরে যে স্থাপনাই গড়ে উঠুক তা অবৈধ। কারণ নদীতে যে জমি চলে যায় তা আর ব্যক্তিমালিকানায় থাকে না, হয়ে যায় সরকারি সম্পত্তি। আর সরকারি সম্পত্তিতে ব্যক্তিমালিকানাধীন পুকুর গড়ে ওঠে কীভাবে?’

রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, ‘পদ্মার চরে কাউকে পুকুর খননের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তার পরও চর দখল করে কারা পুকুর খনন করল তা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’