
মাছ, মাংস, মুরগি থেকে শুরু করে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম বেড়েছে, দিশেহারা সাধারণ মানুষ। মৌসুমি সব ধরনের সবজির দাম চড়া।
শুক্রবার রাজধানীর শুক্রাবাদ কাঁচাবাজার, কলাবাগান, কাঁঠালবাগান বাজার ঘুরে দেখা যায়- মাছ-মাংস, শাক-সবজিসহ সকল পণ্যের দামই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চাইছেন বিক্রেতারা। ছুটির দিন হওয়ার এসব বাজারে অন্যান্য দিনের তুলনায় মানুষজনের উপস্থিতিও ছিল বেশি।
এসব খুচরা বাজারে পেঁয়াজ, ডিমের দাম কিছুটা কমলেও আলু, টমেটো, বেগুন, করলা, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙ্গা, কচুর লতি, ঢেঁড়স, লাউশাক, পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাক, কচু শাকসহ সবধরনের শাক সবজির দামই ছিল চড়া।
সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। এতে ব্রয়লার মুরগির কেজি দুইশো টাকার কাছাকাছি চলে এসেছে।
এদিকে পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক কমানোর খবরে কমেছে পেঁয়াজের দাম। একদিনে কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১০ টাকা। তবে মুরগির পাশাপাশি এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে ছিল ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। আর সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে।
ব্রয়লার মুরগির মতো পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির দামও দফায় দফায় বেড়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সোনালী মুরগির দাম কয়েক দফা বেড়ে এখন ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এই মুরগির কেজি ছিল ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা এবং দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি।
সকল পণ্যের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে।