নেপালকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের শুভসূচনা। ৩৪৩ রানের টার্গেটে পাকিস্তানের বোলিং ১০৪ রানেই বিপর্যয় ঘটে রোহিত পৌডেলের দলের।
বুধবার মুলতানে পাকিস্তানের দেয়া ৩৪২ রানের জবাব দিতে নেমে ২৩.৪ ওভার মোকাবিলা করে ১০৪ রানে অলআউট হয়েছে গেছে নেপাল।
৩৪৩ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে নেপাল। শাহিন শাহ প্রথমে ৪ বলে ৮ রান করা কুশল ব্রুতাল ও পরে প্রথম বলেই ফেরান রোহিত পৌডেলকে।
নাসিম শাহের বলে ফেরেন ৫ বলে ৫ রান করা আসিফ শেখ, ইফতিখার আহমেদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
১৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর নেপালের জন্য কিছুটা ভরসা যোগান আরিফ শেখ ও সম্পল কামাই।
এ দুজনের কল্যানেই দলের রান একশ ছাড়িয়ে যায়। তাদের দুজনের ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন হারিস রউফ। ৩৮ বলে ২৬ রান করা আরিফকে বোল্ড করেন তিনি।
পরে তার সঙ্গী সম্পলকেও আউট করেন রউফই। ৪৬ বলে ২৮ রান করা সম্পল উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। তারা দুজন আউট হওয়ার পর নেপালের অলআউট হতেও খুব বেশি সময় লাগেনি। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে কেবল গুলশান ঝা-ই দুই অঙ্কের ঘরে নিতে পারেন ব্যক্তিগত রান।
পাকিস্তানের পক্ষে শাদাব খান চারটি ও শাহিন শাহ, হারিস রউফ নেন দুই উইকেট করে।
মাত্র ২৫ রানেই সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার-ফখর জামান ও ইমাম উল হক। দলীয় ২১ রানে করণ কেসির বলে উইকেটরক্ষক আসিফ শেখকে ক্যাচ দেন ১৪ রান করা ফখর। আর রানআউটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন অপর ওপেনার ইমাম (৫)।
এরপর ৮৬ রানের জুটি গড়েন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৫০ বলে ৪৪ রান করে রিজওয়ান বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। পাঁচে নামা আঘা সালমানের ব্যাট হাসেনি আজ। তিনি সাজঘরে ফিরে গেছেন মাত্র ৫ রান করে।
বাবর তুলে নেন ওয়ানডেতে নিজের ১৯তম সেঞ্চুরি, ইনিংসের হিসেবে সবচেয়ে দ্রুততম হিসেবে। ৪২তম ওভারে এসে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাবর। ওই ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ছিল ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান। ওভার প্রতি পাকিস্তান করছিল ৫.৪২ রান। কিন্তু শেষ ৪৮ বলে ১১৪ রান তোলে পাকিস্তান।
ইফতিখার আহমেদের সঙ্গে বাবরের জুটি ছিল ২১৪ রানের, স্রেফ ১৩১ বলে। ইনিংসের দুই বল আগে থাকতে সম্পল কামির বলে ক্যাচআউট হয় বাবর। এর আগে ৪ ছক্কা ও ১৪ চারের ইনিংসে ১৩১ বলে করেন ১৫১ রান। সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া আরেক ব্যাটার ইফতেখার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ৭১ বলে ১০৯ রান করেন।