রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বগুড়া রেল স্টেশনে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কিছু জটিলতা ছিল। সেসব জটিলতা কেটে গেছে। এছাড়াও প্রকল্প এলাকার সুবিধা ও অসুবিধা দেখতে আমি এখানে এসেছি। খুব দ্রুত রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, ভারতের লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় এই প্রকল্পটিতে অর্থ ব্যয় করা হবে। পাশাপাশি পুরো প্রকল্পে সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার কোটি টাকার মতো খরচ হবে। এছাড়াও প্রকল্প পরামর্শকেরা ইতোমধ্যে কোথায় কোথায় ব্রিজ, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস নির্মাণ হবে তা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। দ্রুত রেলপথ যাচাইয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বগুড়া রেল স্টেশন সূত্র জানায়, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেল নির্মাণ প্রকল্পে মূল রুট ধরা হয়েছে ৭২ কিলোমিটার। বগুড়ার রানীরহাট এলাকা থেকে সিরাজগঞ্জের এম মনসুর আলী স্টেশন পর্যন্ত এ রুট হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ডুয়েল গেজের দুটি রেল নির্মাণের পরিকল্পনা হয়েছে। এছাড়াও বগুড়ার কাহালু স্টেশন থেকে রাণীরহাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটারসহ মোট ৮৪ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ হবে। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে রাণীরহাটে জংশন নির্মাণ করা হবে।
এর পাশাপাশি শেরপুর, চাঁন্দাইকোনা, রায়গঞ্জ, কৃষাণদিয়া ও সদানন্দপুরে স্টেশন স্থাপন করা হবে। প্রস্তাবিত ৮৪ কিলোমিটার রেলের জন্য ৯৬০ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে বগুড়ায় ৫২ কিলোমিটার রেলপথের জন্য ৫১০ একর এবং সিরাজগঞ্জের ৩২ কিলোমিটারের জন্য ৪৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে।
বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের মধ্যে সরাসরি এই রেল যোগাযোগ চালু হলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বগুড়ার রেলের দৈর্ঘ্য ১১২ কিলোমিটার কমে ২১২ কিলোমিটার হবে। একই সঙ্গে এ রেল রুটে সময়ও তিন ঘণ্টা কমে যাবে। এ রুটের মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আশপাশের এলাকার সরাসরি রেল যোগাযোগ নিশ্চিত হবে।
বগুড়া রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক, পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু ও বগুড়ার স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান।