কখন, কবে, কোন আলোতে
কপালে টকটকে লাল টিপ দিয়ে কলতানে ভেসেছি,
তা মনে পড়লে কষ্টে বুক বেজে উঠে।
কয়েকশ কোটি মিনিট কেটে গেছে, নিজের শখ গুলোকে আড়াল করেছি,
কাউকে মুখ ফুটে বলতে পারি নি।
অবসন্ন সময়গুলো যখন আপন মনে ঘুরে বেড়াতাম,
সেই সময়টা এখন খিটখিটে অনন্ত মেঘে হারিয়ে থাকি।
সকালে পাখির মধুর সুরে ঘুম ভাংলেও;
কড়া গুঞ্জনে শুনতে হয়- এতো দেরীতে ঘুম ভাঙ্গে কেন!! ঘড়ের বউ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠবে।
একটু পর পর আদেশ- এখানে ময়লা, ওখানে নোংরা, তরকারী মজা হয়না, থালা বাসন পরিষ্কার করো, যা তা…।
এসব শুনতে শুনতে আমি হয়ে যাই নারী।
নারী! নারী! নারী!
চারদিক সম্মানের তোরজোড়,
কিন্তু আমি?
ঘরবন্দী, গৃহ কোণে হুকুমের আজীবন দাসি…
হুম… আমি নারী।
একদিন সকালে ঘুম ভেঙ্গে দেখি- আমার চুলগুলো পুরুষের মতো ছোট ছোট।
ঘুমানোর ভান করে বিছানায় কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি।
কই কেউ ত শাসিয়ে কিছু বলে না, কেউতো প্রশ্ন করে না- এখনো উঠো নি কেন?
দিব্যি প্যান্ট, শার্ট পরে নোংরা কাপড় বিছানায় রেখে বের হলাম বাড়ির বাহিরে।
ফাঁকা রাস্তায় মুক্ত পাখির মতো গান গাইতে গাইতে হাঁটছি…
কই কেউ ত আমার শরীরের দিকে তাকায় না!!
—— রাইসুল আলম জন