
দিনের পর দিন রায়পুরায় বেড়ে চলেছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার সংখ্যা, আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ। যেন ভোগান্তির শেষ নেই! চলাচলের পথে নানান হয়রানি এখন নিত্যদিনের ঘটনা।
নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া গতিতে ছুটছে এসব অটোরিকশা, কিন্তু নজরদারির কেউ নেই। পথচারীরা অসহায়, যাত্রীরা আতঙ্কিত, আর চালকদের স্বেচ্ছাচারিতা যেন আরও প্রকট হয়ে উঠছে।
প্রশ্ন জাগে—এই বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করবে কে? কে নেবে দায়িত্ব? রাস্তায় শৃঙ্খলা ফেরাতে কার্যকর পদক্ষেপের অপেক্ষায় সাধারণ মানুষ!
এবার সিএনজি ও অটোরিক্সার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আওয়াজ তুলেছে নরসিংদী জেলার সর্ব বৃহৎ উপজেলা রায়পুরার সাধারণ মানুষ।
এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাওয়া যায় জেলা প্রশাসন নরসিংদী এবং উপজেলা প্রশাসন রায়পুরা বরাবর আবেদন পত্র।
বরাবর
জেলা প্রশাসন নরসিংদী এবং উপজেলা প্রশাসন রায়পুরা
বিষয়ঃ ঈদুল ফিতরের আগে রায়পুরা উপজেলা এবং নরসিংদী জেলার অভ্যন্তরীন রাস্তায় চলাচল কারী সি এন জি এবং অটোরিক্সা চালকদের হয়রানির হাত থেকে যাএীদের সহায়ক ব্যাবস্হা গ্রহণের জন্য আবেদন।
জনাব
বিনিত নিবেদন এই যে, আমরা নরসিংদী জেলার সর্ব বৃহৎ উপজেলা রায়পুরার জনসাধারণের জন্য জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ এর মাধ্যম সি এন জি অটোরিক্সা যা নরসিংদী শহরের আরশিনগর জেলার সবচেয়ে বড় সিএনজি ষ্ট্যান্ড হতে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
ইদানীং পরিলক্ষিত হচ্ছে চালকেরা নির্ধারিত ভাড়ায় না গিয়ে নিজেদের ইচ্ছে মত ভাড়া দাবী করছে যাএীদের নিকট হতে। প্রতিবাদ করলে আরো সমস্যা তখন সবাই একজোট হয়ে যাএীদের উপর আরো বেশী অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে।
একই পরিস্থিতি রায়পরা পৌরএলাকা সহ অভ্যন্তরীন রাস্তায় চলাচল কারী অটো ও ভিবারটেক চালকদের। কোন ষ্ট্যান্ডে নির্ধারিত কমিটি না থাকায় চালকেরাও নিজেদের মত করে ভাড়া দাবী করছে,কারো কাছে কোন জবাব দিহি না থাকায় বেপরোয়া হয়ে উড়ছে দিন দিন, সামনে ঈদে তাদের আরো বড় ধরনের পরিকল্পনা করছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের জন্য, এমতাবস্থায় উপজেলার ষ্ট্যান্ড গুলোতে ভাড়ার চার্ট টানানো সহ প্রশাসনের সরাসরি তদারকি জরুরী প্রয়োজন।
অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন উপরোক্ত বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে সাধারন জনগনের মাঝে প্রশাসন দায়িত্বশীলতার দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে মহোদয়ের মর্জি হয়।
বিনিত
রায়পুরা উপজেলার সাধারণ মানুষের পক্ষে
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
মাহফুজুর রহমান