দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধের বিস্তারিত পদক্ষেপের বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের এসব কার্যক্রম গ্রহণের ফলে বাজারে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে এবং আশাকরি আসন্ন পবিত্র রমজান মাসেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
আজ বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে জাতীয় সংসদে ফখরুল ইমামের (ময়মনসিংহ-৮) এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্যশস্যের বাজার দরের ঊর্ধ্বগতি রোধের লক্ষ্যে চালকল পর্যায়ে ধান মজুতের সর্বোচ্চ পরিমাণ দৈনিক ৮ ঘণ্টা হিসেবে পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা ৫ গুণের স্থলে ৩ গুণে হ্রাস করা হয়েছে। পাইকারি বাজারগুলোতে মজুতদারি এবং বিভিন্ন রাইস মিলে অতিরিক্ত চাল মজুতের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে যাতে খাদ্যশস্যের মূল্যবৃদ্ধি করতে না পারে সে লক্ষ্যে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সেই সঙ্গে ১০০টি বৃহৎ আকারের চালকলের মিলগেটের মূল্য নিয়মিত সংগ্রহ করে ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অভিযান এবং কেউ অবৈধ মজুতের মাধ্যমে বাজারে যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রশাসনের সহায়তায় মেবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। ১০ টাকা দরে চাল বিক্রির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে কর্মাভাবকালীন ৫ মাস (সেপ্টেম্বর-নভেম্বর মার্চ-এপ্রিল) সারা দেশে গ্রামাঞ্চলে ৫০ লাখ অতিদরিদ্র পরিবারের মধ্যে মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি কার্যক্রম চালু রয়েছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ওএমএস কর্মসূচি আওতায় বিক্রয় কেন্দ্রের সংখ্যায় প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি করে বর্তমানে ২ হাজার ১৩টি কেন্দ্রে ওএমএস খাদ্যশস্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ওএমএস কর্মসূচি মহানগর ও জেলা পর্যায়ের পৌরসভাগুলোতে পরিচালনা করা হলেও বর্তমানে তা সম্প্রসারিত করে সব পৌরসভায় পরিচালনা করা হচ্ছে। সরকার এসব কার্যক্রম গ্রহণের ফলে বাজারে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে এবং আশা করি, আসন্ন পবিত্র রমজান মাসেও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।