মাশরুমের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ও সারা দেশে মাশরুমের চাষ সম্প্রসারণ করতে প্রকল্প গ্রহণের কাজ চলছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে অর্থকরী ফসল মাশরুম চাষের সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে হবে। ইতোমধ্যে মাশরুমের উন্নত জাত ও চাষের প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী রবিবার ( ৬ জুন) সাভারে মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে মাশরুম চাষি ও উদ্যোক্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি ও নানান প্রণোদনার ফলে বিগত ১২ বছরে কৃষিতে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জিত হয়েছে। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশে মাশরুমের সম্ভাবনা অনেক। এটির চাষ সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করতে পারলে তা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের তথ্যানুসারে, দেশে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন মাশরুম প্রতি বছর উৎপাদন হচ্ছে যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ মাশরুম ও মাশরুমজাত পণ্য উৎপাদন ও বিপণন সংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ প্রায় সব দেশেই মাশরুম আমদানি করে থাকে । বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাশরুম রপ্তানির অনেক সুযোগ রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ এর সভাপতিত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো: এনামুর রহমান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব (সম্প্রসারণ) মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল, সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জরুল আলম রাজিব, পৌর মেয়র আব্দুল গণি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সারাদেশ থেকে মাশরুম চাষি ও উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এ পর্যন্ত বিদেশ থেকে মাশরুমের ১৬২টি জাত দেশে এনেছে এবং সেগুলো দেশে চাষের উপযোগী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। দেশের পাহাড়ি ও বনাঞ্চল থেকেও ১৪০ টি জাত সংগ্রহ করেছে। এছাড়া, ইনস্টিটিউটে মান নিয়ন্ত্রণ ও মান নিশ্চিত করণে আধুনিক ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। ল্যাবে মাশরুমের পুষ্টি ও ঔষধিগুণসহ ভিটামিন, মিনারেল প্রভৃতি নির্ণয় করা হচ্ছে।