সারাদেশে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনে আরও ১০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ওমিক্রন সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্তের এক মাস না গড়াতেই সংখ্যাটি ২০ জনে পৌঁছল। নতুন শনাক্ত রোগীর মধ্যে সাতজন নারী, বাকি তিনজন পুরুষ। তারা সবাই ঢাকার বাসিন্দা।
গত ৯ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টটি সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল। তারা ছিলেন আফ্রিকা সফর করে আসা ক্রিকেটার। এরপর বুধবার নাগাদ এই সংখ্যা বেড়ে ১০ জনের দাঁড়িয়েছিল।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের আরো ১০ কোভিড রোগীর ওমিক্রন সংক্রমণের খবর দিয়েছে জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা (জিআইএসএআইডি)।
গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত নতুন ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছেছিল। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পর তা জিআইএসএআইডিতে জমা দেয় আইসিডিডিআর, বি এবং ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস-আইদেশি।
নতুন শনাক্ত ১০ রোগীর মধ্যে যে সাতজন নারী তাদের দুজনের বয়স ৩৫ বছর। বাকিদের বয়স যথাক্রমে ১৮, ২৩, ২৯, ৪৮ ও ৫৩ বছর। আর পুরুষদের মধ্যে দুজনের বয়স ৬৫ বছর,একজনের বয়স ৬১ বছর।
দুই বছর আগে বিশ্বে নতুন করোনাভাইরাস মহামারী বাঁধিয়ে দেয়ার পর গত বছরের প্রথম ভাগে বিপর্যয় নিয়ে আসে এই ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এরপর টিকাদানসহ নানা পদক্ষেপে পরিস্থিতির যখন উন্নতি হচ্ছিল, তখন দক্ষিণ আফ্রিকায় দেখা দেয় নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন।
এই ভ্যারিয়েন্টই এখন দাপট দেখাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে রোগীর সংখ্যা আবার হু হু করে বাড়ছে। ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভার ভেরানের ভাষায়, ওমিক্রন যা ঘটাচ্ছে, তাকে আর সংক্রমণের ঢেউ বলা চলে না, এটা রীতিমতো ‘জলোচ্ছ্বাস’। বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজারে পৌঁছে গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, নতুন ভ্যারিয়েন্টটির দাপটে বিশ্বে গত এক সপ্তাহে রোগী শনাক্তের হার আগের সপ্তাহের চেয়ে ৭১ শতাংশ বেড়েছে।
নতুন ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ে বাংলাদেশেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে নানা বিধি-নিষেধ আবার ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। সেই সাথে টিকার বুস্টার ডোজ দেয়াই চলছে।