দিনাজপুরে ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের শিকার কিশোরী ইয়াসমিনের মা মারা গেছেন

0
579

দিনাজপুরে ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের শিকার কিশোরী ইয়াসমিনের মা শরিফা বেগম মারা গেছেন। ( ইন্না-লিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাহি রাজিউন)

আজ শুক্রবার ( ৩ মে ) ইয়াসমিন হত্যার ২৯ বছর পরে তিনি মারা যান। বাদ মাগরিব জেলা শহরের পিটিআই স্কুলের সামনে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

২৮ বছর পাগলের মতো মেয়ের লাশের ছবি নিয়ে ছটফট করে চোখের পানি ফেলে গেছেন এই মা! এই রোমহর্ষক আর্তনাদ, এই সন্তানহারা ২৮ বছরের বিনিময়ে খোদা তাঁর জীবনের সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দিন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট। দীর্ঘদিন পর মাকে দেখার জন্য আকুল হয়ে ঢাকা থেকে দিনাজপুরে বাড়ি ফিরছিল ইয়াসমিন। দিনাজপুরের কোচে না উঠতে পেরে পঞ্চগড়গামী কোচে ওঠেন তিনি।

কোচের লোকজন তাকে দিনাজপুরের দশমাইলে নামিয়ে দিয়ে সেখানকার এক চায়ের দোকানে বসতে বলেন। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ইয়াসমিনকে দিনাজপুর শহরে মায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য খুব ভোরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এলাকাবাসী।

পথে কয়েকজন পুলিশ সদস্য কিশোরী ইয়াসমিনকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করে। এরপর তারা ইয়াসমিনের মরদেহ দিনাজপুর শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে দিনাজপুর সদর উপজেলার ব্র্যাক অফিসের পাশে রাস্তায় ফেলে চলে যান।

পরদিন ঘটনা জানাজানি হলে কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা দিনাজপুর শহরের রাস্তায় প্রতিবাদ মিছিল বের করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।