জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়নি, সমন্বয় করা হয়েছে। ভারতসহ সারা বিশ্বে দাম বৃদ্ধি এবং পাচার ঠেকাতেই সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
শনিবার (৬ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ভার্চুয়ালি এক মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন তিনি।
নসরুল হামিদ বলেন, আমরা জ্বালানি তেলের দাম বিশ্ববাজারের সাথে মিলিয়ে সমন্বয় করেছি। বিশ্ববাজারে দাম কমলে আমরাও আবার দাম কমিয়ে দেব। দাম সমন্বয় না করলে, জ্বালানি তেল পাচার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তিনি আরো বলেন, জ্বালানি তেলের দাম যে হারে সমন্বয় করা হয়েছে, তাতে গণপরিবহনে ১০ কিলোমিটারে যাত্রী প্রতি ভাড়া ৯৩ পয়সার বেশি বাড়ার কথা না। ভাড়া বাড়ানোর নামে যাত্রীদের এভাবে জিম্মি করা উচিত হচ্ছে না।
এদিকে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহন মালিকরা ভাড়া বাড়ালেও তা জনগণের জন্য ‘সহনীয়’ পর্যায়ে রাখা হবে। সরকার সেদিকে দৃষ্টি রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর পরিবহন মালিকরা ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার মধ্যেই শনিবার (৬ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশ্বাস দেন ওবায়দুল কাদের।
এ সময় পরীক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থী ও পণ্যপরিবহনসহ জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানান সেতুমন্ত্রী।
লন্ডনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী সতর্ক করে দিয়ে বলেন, মূল্য সমন্বয়ের অজুহাতে কেউ যেন অন্যায়ভাবে দ্রব্যমূল্য ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি করতে না পারে সে ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসহ সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।