তুরস্কের একটি মসজিদে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জুব্বা মোবারক প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে জুব্বাটি, নিজ চোখে দেখতে হাজার হাজার মানুষ সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন। অনেককেই প্রিয় নবী (সা.)-এর জুব্বা দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে অঝোরে কাঁদতেও দেখা গেছে। করোনার কারণে গত দুই বছর জুব্বা প্রদর্শন বন্ধ থাকার পর এ বছর আবারও তা চালু করা হয়েছে। প্রদর্শনী চলবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত।
ইস্তাম্বুলের ফাতিহ শহরের প্রাচীন খিরকা শরিফ মসজিদে সংরক্ষিত আছে সপ্তম শতাব্দীর একটি জুব্বা, যা রক্ষণাবেক্ষণ করছে একটি পরিবার। ধারণা করা হয়, জুব্বাটি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর এবং সংরক্ষক পরিবারটি বিখ্যাত সুফি ওয়ায়েজ আল কারনি (রহ.)-এর বংশধর।
হযরত মুহম্মদ (সা.) ওফাত নেওয়ার আগেই সাহাবীদের জানিয়ে গিয়েছিলেন তার পরিধানের জুব্বাটি পাবেন ইয়েমেননিবাসী হযরত ওয়াইস করনী (রহ.)। হযরত ওমর (রা.) খলিফা হওয়ার পর হযরত আলীকে (রা.) নিয়ে কুফা নগরীতে যান। দরবেশ ওয়াইস করনিকে খুঁজে বের করে মহানবীর পবিত্র জামাটি তাঁর কাছে হস্তান্তর করেন।
ওয়াইস করনির বংশধররা অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত ইরাকে বসবাস করতেন। পরম যত্মে তারা মহানবীর জুব্বা সংরক্ষণ করেন। এক সময় করনি পরিবার ইরাক থেকে পশ্চিম তুরস্কে চলে যেতে বাধ্য হন। কুসাদাসির এজিয়ান শহরে বসতি স্থাপন করেন। ১৬১১ সাল পর্যন্ত তারা সেখানে ছিলেন।