ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেনকে মারধরের ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ।
হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেনকে মারধরের পর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় না আনায় এই কর্মবিরতি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালের ‘ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ (ইচিপ)’-এর সভাপতি ডা. মহিউদ্দিন জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মারুফ উল আহসানের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর কতিপয় ছাত্র কর্তৃক গত ৮ই আগস্ট রাত ৯টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিনা কিারণে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেনের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। এই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখনও অপরাধীদের শনাক্ত না হওয়ায় ও তাদের আইনের আওতায় আনতে না পারার প্রতিবাদ স্বরূপ পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করবেন।
এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি ডা. মহিউদ্দিন জিলানী গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা হয়ে গেল, কিন্তু এখনো প্রশাসন কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। এজন্য আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করলাম। যতক্ষণ পর্যন্ত দোষীদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না ততক্ষণ আমাদের এই কর্মবিরতি চলবে।
প্রসঙ্গত, ৮ই আগস্ট সোমবার রাত নয়টায় ভুক্তভোগী সাজ্জাদ শহীদ মিনারে বসে ছিলেন এমন সময় ছয় থেকে সাত জনের একটি দল তার কাছে আসে যাদের ঢাবির লোগো সম্বলিত টিশার্ট গায়ে ছিল। তারা আইডি কার্ড দেখতে চায় কিন্তু তিনি আইডি মেডিকেলে রেখে আসার কথা জানালে তাকে ব্যাপক মারধর শুরু করে। কানে থাপ্পর দেয়ায় কানের পর্দার আশেপাশে রক্তক্ষরণ হয়। ডান পাশের কানে কম শুনতে পাচ্ছেন ভুক্তভোগী সাজ্জাদ। নাকে আঘাত লাগার কারণেও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ডা. সাজ্জাদ হোসেন পরদিন মঙ্গলবার শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।