গোপালগঞ্জে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে কারসাজি করার অপরাধে দুই ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে অভিযুক্তদেরকে সনাক্ত করে এ দন্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হাসান আলী ভূঁইয়া ও মোঃ হোসেন আলী হাওলাদার।
অভিযুক্ত হাসান আলী ভূইয়া নিজ জেলা বাদ দিয়ে দালালের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অধিক অর্থ দিয়ে গোপালগঞ্জ বিআরটিএ কার্যালয় থেকে দালালের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স নেওয়ার জন্য সকালে লিখিত পরীক্ষা দিতে এসে আটক হন।
পরে অপরাধ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক তাকে সাত (০৭) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেল হাজতে পাঠান। সে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার হাঁসের খোলা গ্রামের রফিকুল হক ভূইয়ার ছেলে। অপর অভিযুক্ত মোঃ হোসেন আলী হাওলাদার বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশীদের নিকট থেকে অনৈতিকভাবে সরকার নির্ধারিত ফি -এর অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় পাস করিয়ে দ্রুত লাইসেন্স প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ নেওয়ার অপরাধ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালত তাকে এক (০১) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেল হাজতে পাঠন। সে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানার দক্ষিণ কয়খা গ্রামের মৃতআঃ ছাত্তার হাওলাদারের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রাসেল মুন্সী বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান স্যারের দিকনির্দেশনায় নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। সরকার নির্ধারিত ফি’র বাহিরে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে অদক্ষ আর যেন কেউ অনৈতিকভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স না পায় সেদিকে জেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
কেবল প্রশিক্ষিত প্রশিক্ষণার্থীরাই সরকার নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে বিনা হয়রানিতে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করে আত্মকর্মসংস্থানে সচেষ্ট হবেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে কারসাজি রুখতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কেএম আবুবক্কার
ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি