টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে আয়ারল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। আর এ বিশাল জয়ে সুপার টুয়েলভ অর্থাৎ মূল পর্বে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে ফেললো দলটি।
আবুধাবিতে বুধবারের এ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আইরিশরা। ব্যাট করতে নেমে লঙ্কানদের শুরুটা ভালো ছিল না। প্রথম দুই ওভারেই তারা হারায় ৩ উইকেট। তবে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৭১ রান করতে সমর্থ হন তারা।
১৭২ রানের বিশাল লক্ষ্য। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ ১৬ রানে আইরল্যান্ড হারিয়েছে ৬ উইকেট। ১৮.৩ ওভারে ১০১ রানে অলআউট অ্যান্ডি বালবিরনির দল। ফলে আইরিশদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ৭০ রানের বিশাল জয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করে ফেললো শ্রীলঙ্কা।
লঙ্কান বোলার মহেশ থিকসানা, চামিকা করুনারত্নে এবং লাহিরু কুমারার বোলিং তোপের মুখে দাঁড়াতেই পারেনি আইরিশরা। যার ফলে ১০১ রানেই অলআউট হয়ে গেলো তারা।
টি-টোয়েন্টি ম্যাচের শুরুতেই শ্রীলঙ্কাকে চমকে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ৮ রানের মধ্যেই সেরা তিন ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাথুম নিশাঙ্কা আর ওয়ানিদু হাসারাঙ্গার বজ্র কঠিন দৃঢ়তার সামনে আর ধোপে টেকেনি আইরিশ প্রতিরোধ।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে নিশাঙ্কা ৬১ এবং হাসারাঙ্গা ৭১ রান করে শ্রীলঙ্কাকে পৌঁছে দেন ১৭১ রানের চুড়ায়। এত বড় স্কোর দেখেই হয়তো ঘাবড়ে গিয়েছিল আইরিশরা।
১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর আয়ারল্যান্ডের শুরুটাও ভালো হয়নি। ১৮ রানের মধ্যে বিদায় নেন দুই ওপেনার, অভিজ্ঞ ব্যাটার পল স্টার্লিং এবং কেভিন ও’ব্রায়েন। স্টার্লিং ৭ রানে এবং ও’ব্রায়েন আউট হন ৫ রানে। ৩২ রানের মাথায় বিদায় নেন গ্যারেথ ডিলানি (২)।
অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবিরনি কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৯ বলে ৪১ রানের ইনিংস। কার্টিস ক্যাম্পার ২৮ বলে খেলেন ২৪ রানের ইনিংস।
পরের ৫ ব্যাটসম্যান তো দুই অংকের ঘরই স্পর্শ করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৮.৩ ওভারে আয়ারল্যান্ড অলআউট হয়েছে ১০১ রানে। শ্রীলঙ্কার জয় ৭০ রানে। মহেস থিকসানা নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন চামিকা করুনারত্নে এবং লাহিরু কুমারা। ১টি করে উইকেট নেন দুস্মন্তে চামিরা এবং ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন হাসারাঙ্গা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপে শ্রীলঙ্কার জয় দুই ম্যাচে। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ড এবং নামিবিয়ার জয় একটি করে। নেদারল্যান্ডস কোনো ম্যাচ জিততে না পারায় এক ম্যাচ আগেই তাদের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে।