
রাজধানীর শাহজাহানপুরে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতিকে হত্যার মূল শুটার মো. মাসুম ওরফে আকাশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার পাঁচদিন আগে কাট-আউট পদ্ধতিতে একজনকে হত্যার কন্ট্রাক্ট পান মাসুম।
রোববার (২৭ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিবি প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মাসুম বলেন, ‘আমার টার্গেট ছিল টিপুকে হত্যা করা। তাই আমি অস্ত্রের ট্রিগার চেপে রেখেছিলাম। একাধারে গুলি বের হচ্ছিল। প্রীতিকে টার্গেট করে গুলি মারিনি। প্রীতির শরীরে যে গুলি লেগেছে সেটা আমি জানতাম না। হত্যার পরের দিন টিভি দেখে জেনেছি। তাকে আমি গুলি করতেও যাইনি। আমার টার্গেট ছিল কেবল টিপু।’
এ বিষয়ে রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘মাসুম এই হত্যাকাণ্ডের কথাটি আমার কাছে স্বীকার করেছে। হত্যার জন্য মাসুমকে কন্ট্রাক্ট করা হয়েছিল। তবে টাকা দিয়ে নয়, তাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে কন্ট্রাক্ট করা হয়। তার বিরুদ্ধে ৪-৫টি মামলা রয়েছে। একটি হত্যা মামলাও রয়েছে। তাকে সেসব মামলা থেকে সেভ করা হবে বলা হয়েছিল।’
ডিবি জানায়, গ্রেপ্তার মাসুম একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন পাশ করেছে। তার বাবা একটি স্কুলের শিক্ষক। তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।
হত্যার কারণ জানতে চাইলে এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, এ মুহূর্তে তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। মোটিভ পরে বলতে পারব।