ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) না ভেঙে সংস্কার ও আধুনিকায়নের পথে হাঁটছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতামতেও সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে। জানা গেছে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ৭০ শতাংশই টিএসসি না ভাঙার পক্ষে মত দিয়েছেন।
অন্যদিকে মাত্র ১০ ভাগ শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিএসসি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের কথা বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনলাইনে মতামত আহ্বানের পর ১ হাজার ১২০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিজেদের মতামত প্রদান করেন। এর মধ্যে ১২০ জন ছিলেন শিক্ষক।
গত ২৪ ডিসেম্বর টিএসসির স্থাপনা বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতামত জানতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল ও প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রাপ্ত মতামতগুলোকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো :আগের স্থাপনা অপরিবর্তিত রাখা, স্থাপনা অপরিবর্তিত রেখে নতুন স্থাপনা নির্মাণ, ভেঙে নতুন স্থাপনা নির্মাণ এবং সংশ্লিষ্টতাহীন মতামত।
মতামত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আগের স্থাপনা অপরিবর্তিত রাখার (না ভাঙার) পক্ষে ৫০ শতাংশ, পূর্বের স্থাপনা অপরিবর্তিত রেখে নতুন স্থাপনা নির্মাণের পক্ষে ২০ শতাংশ এবং টিএসসি ভেঙে নতুন স্থাপনা নির্মাণের পক্ষে ১০ শতাংশ মত এসেছে। বাকি ২০ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মতামত টিএসসি-সংশ্লিষ্ট ছিল না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের সব কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা মতামতগুলো পর্যালোচনা করেছি। আমাদের মতামতের সঙ্গে বড় ধরনের কোনো পার্থক্য নেই। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেখবেন, দেখে সিদ্ধান্ত দেবেন।’
এর আগে গত রবিবার গণপূর্ত অধিদপ্তর টিএসসির নতুন খসড়া নকশা প্রস্তুত করে উপস্থাপন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। নকশায় টিএসসির বিদ্যমান কাঠামো অক্ষুণ্ন রেখে শুধু নতুন একটি ভবন নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। এ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম সিকদার বলেন, এবারের খসড়া নকশা কর্তৃপক্ষের ভালো লেগেছে। চার সপ্তাহ পরে গণপূর্তের সঙ্গে আরো একটি সভা হবে। সেখানে নকশা চূড়ান্ত করা হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী টিএসসির আধুনিকায়ন চেয়েছেন। গত সভায় আগের স্থাপনা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন ১০ তলা একটি ভবন নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে। পাশের পরমাণু শক্তি কমিশনের জায়গাটি বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির জন্য সরকারের কাছে চাওয়া হয়েছে। যদি জায়গাটি আমরা পাই, তবে ভবনটি ওইদিকে একটু বাড়িয়ে নেওয়া যাবে।’