আগামী দুই বছরের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে সভাপতি এবং শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন থেকে বের হয়ে তাদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের ১৩ দিন পর নতুন কমিটি ঘোষণা করা হলো।
কেন্দ্রীয় কমিটির পাশাপাশি ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটিও ঘোষণা করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে মাজহারুল করিমকে, আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তানভীর হাসান সৈকত।
এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে রিয়াজ মাহমুদকে, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর আহমেদ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতির পদে এসেছেন রাজীবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সজল কুন্ডকে।
সাদ্দাম হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তার বাড়ি পঞ্চগড়। একই বিভাগ থেকে স্নাতক- স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। তিনি এর আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি বরিশাল জেলায়।
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক উপ-সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বাড়ি কুমিল্লা। সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক এবং ডাকসুর সাবেক সদস্য। তার বাড়ি লক্ষীপুর জেলায়।
আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বহুল প্রতীক্ষিত ৩০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। এই সম্মেলন ঘিরে নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষায় ছিল ছাত্রলীগ। তবে ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রথম অধিবেশন শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানিয়ে দেন ছাত্রলীগের নতুন কমিটি আজই ঘোষণা করা হচ্ছে না। ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে শেখ হাসিনা কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
২০১৭ সালে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের পর মো: রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদি ছাত্রলীগের কমিটি করা হয়। কিন্তু চাঁদাবাজিসহ আরো কয়েকটি অভিযোগের কারণে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এক নম্বর সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান জয় সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং এক নম্বর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
মাস তিনেক পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এই দুই নেতাকে ভারমুক্ত করার প্রস্তাব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেই প্রস্তাবে শেখ হাসিনা সম্মতির ভিত্তিতে পূর্ণ দায়িত্বে পূর্ণ মেয়াদ পার করেন জয়-লেখক।