সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধিসহ চার দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছিল চাকরিপ্রত্যাশীরা। রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ‘সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে নীলক্ষেত মোড়ে সড়ক আটকে তাদের বিক্ষোভ শুরু হয়। এতে আশপাশের রাস্তাগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র জট তৈরি হয়।
কয়েক দফা অনুরোধের পরও আন্দোলনকারীরা রাস্তা না ছাড়লে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধিসহ নিয়োগ পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরসহ ফলাফল প্রকাশ, চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা, একই সময়ে একাধিকবার নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলন করছিলেন।
এ সময় তারা তাদের দাবির পক্ষে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। এ ছাড়া তারা ‘ভেঙে ফেল বয়সের শৃঙ্খল আয়রে সব তরুণ দল’, ‘শেখ হাসিনার সরকার বয়স বৃদ্ধি দরকার’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘মুজিববর্ষের উপহার বয়স বৃদ্ধি দরকার’, ‘ছাত্র সমাজের দাবি বয়স বৃদ্ধি’, ‘তারুণ্যকে বয়সের ফ্রেমে বেঁধে রাখা যায় না’, ‘২১ মাসের প্রহসন মানি না, মানব না’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, গত বছরের ১৯ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘ব্যাকডেট’র মাধ্যমে বয়স ছাড়ের প্রজ্ঞাপনকে প্রহসনমূলক অ্যাখ্যা দিয়ে তারা বলেন, এটি সব শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক পদ্ধতি রূপে প্রতীয়মান হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ব্যাকডেট দিয়ে বয়স সমন্বয় করায় শুধু যাদের বয়স ৩০ প্লাস শুধু তারাই উপকৃত হচ্ছেন। ২১ মাসের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি ৪ মাস। কারণ ব্যাকডেটের বয়স ২৫ মার্চ ২০২০ নির্ধারণ করে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত মোট ২১ মাস সময় ধরা হলেও এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় অক্টোবর ২০২১ এবং কার্যকর হয় সেপ্টেম্বর ২০২১।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। এই বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে।