
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি অবশেষে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’তে রূপ নিয়েছে। এর ফলে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার (৮ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার পূ্র্বাভাস দেওয়া বিভিন্ন সংস্থা জানিয়েছে, এটি আরও এগিয়ে ভারতের উপকূল ঘেঁষে বাঁক নিয়ে আবার বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে পারে। তবে শেষ মুহূর্তে সেই বাঁকটি নেবে কি না- এটা জানতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।
‘অশনি’ এখন ঘণ্টায় ১৬ কিলোমিটার গতিতে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে এগিয়ে গেলে ভারতের উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করার কথা।
কিন্তু ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর ও আমেরিকার নৌ-বাহিনী পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার ‘অশনি’র যে সম্ভাব্য গতিপথ দেখিয়েছে সেটা অনুযায়ী, এটা উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূলের কাছে এসে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিতে পারে। বাঁক নেওয়ার পর এর গতিপথ হতে পারে ভারতের উপকূল ঘেঁষে বাংলাদেশের দিকে। তবে শেষ মুহূর্তে পূর্বাভাস অনুযায়ী ‘অশনি’ এই বাঁক নেয় কি না সেটা দেখার বিষয়।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (মৌসুম ভবন) জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আগামী ১০ মে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূলের কাছাকাছি চলে যেতে পারে। এরপর এটি উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে উড়িষ্যা উপকূল অভিমুখে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে যেতে পারে।
এবারের ঘূর্ণিঝড়টির নামটি রেখেছে শ্রীলঙ্কা। সিংহলি শব্দ ‘অশনি’ এর বাংলা অর্থ ‘ক্রোধ’।