ঘরে বসেই অনলাইন জিডি

0
57
ঘরে বসেই অনলাইন জিডি
ঘরে বসেই অনলাইন জিডি

বিশ্বজুড়ে এখন প্রতিটি সেক্টরে ডিজিটাল ছোঁয়া। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও আর পিছিয়ে নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভিশন-২০২১’ এর আলোকে ২০১০ সালেই সারাদেশে প্রতিটি থানায় ইলেকট্রনিক এফআইআর ও জিডি চালুর পরিকল্পনা করেন।

ভিশন-২০২১ এর দীর্ঘমেয়াদি ১০টি বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজিক লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম লক্ষ্য ছিল ‘২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সকল থানায় ইলেকট্রনিক জিডি ও এফআইআর চালু’ করা।

গতকাল মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ‘অনলাইন জিডি’ নামে সে কার্যক্রমেরই উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একই অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতু উত্তর ও দক্ষিণ থানার উদ্বোধন, বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত ১২০টি গৃহ হস্তান্তর, পুলিশ হাসপাতালসমূহের আধুনিকায়ন প্রকল্পের আওতায় ১২টি পুলিশ হাসপাতাল, ৬টি নারী ব্যারাকের উদ্বোধন করেন তিনি। 

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের আধুনিকায়নের যুক্ত হওয়া অনলাইন জিডি কার্যক্রমের সফটওয়্যারটি সিডিএমএস++ সফটওয়্যারের সাথে এপিআইয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত। ২০১১ সালে সিডিএমএস সফটওয়্যার তৈরি করা হয়, যা বর্তমানে বাংলাদেশের সকল থানায় দায়ের করা এফআইআর ও তদন্তসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্যাদির ডিজিটাল রেকর্ড হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষিত হচ্ছে।

দেশের যে কোনো থানায় বসেই কোনো সন্দেহভাজন সম্পর্কে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে কী ধরনের মামলা রয়েছে তার আপডেট জানা এখন মাঠ পুলিশের কাছে একটি নৈমিত্তিক বিষয়।

অনলাইন জিডি করতে যা লাগবে

প্রথমে প্লে স্টোর থেকে ONLINE GD নামে সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হবে। এরপর নিজের মোবাইল নম্বর ও মনে রাখার সুবিধা মতো পাসওয়ার্ড দিয়ে এবং অন্যান্য নির্দেশনা অনুসরণ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর নির্ধারিত ছকের তথ্যসমূহ পূরণ করে অনলাইন জিডির তথ্যাদি এন্ট্রি করতে হবে।

নিবন্ধন অপশনে গেলে মিলবে আরও চারটি অপশন। সেখানে আছে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট ও বিদেশি পাসপোর্ট। তবে আপাতত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যে নিবন্ধন করা যাচ্ছে।

জাতীয় পরিচয়পত্রের অপশনে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর জন্মতারিখ ও পরিচয়পত্র যাচাই করে ব্যবহারকারীর জেলা থানা ইউনিয়ন গ্রাম ও ঘটনার বিবরণ সংক্রান্ত তথ্য বিবরণী দিতে হবে।

অনলাইনে জিডি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ব্যবহারকারী পাবেন সার্ভিস কোড। অল্প সময়ের মধ্যেই অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে কিউ-আর কোড সম্বলিত জিডির কপি সংগ্রহ ও মুদ্রণ করা যাবে। সফটওয়্যার ছাড়াও অনলাইন জিডি করা যাবে GD.POLICE.GOV.BD ওয়েবসাইটে।

সিডিএমএম++ যে ১৩টি ফিচার রয়েছে

১. অনলাইন জিডি
২. জিডি সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান ও তদারকি কার্যক্রম 
৩. হারানো ও প্রাপ্তি সংক্রান্ত ম্যাচিং রেকর্ড উপকারভোগীকে স্বয়ংক্রিয়-অবহিতকরণ
৪. অশনাক্ত লাশ শনাক্তে ফটো-ম্যাচিং সুবিধা
৫. মৃতের শরীরের বিভিন্ন অংশের ৩২টি ছবিসহ ভয়েস-টাইপে স্বয়ংক্রিয় সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি৷ 
৬. ডিজিটাল মানচিত্রে সন্দেহভাজনদের আবাসন চিহ্নিতকরণ
৭. বিট পুলিশিংসহ টহল দলের গতিবিধি অনলাইন-মানচিত্রে সরাসরি নিরীক্ষণ।
৮. পুলিশের ছুটি ও সিসি ব্যবস্থাপনা 
৯. অটো আপডেটিং পুলিশ ফোনবুক
১০. পুলিশের সুষম দায়িত্ব বন্টন ব্যবস্থা
১১. পুলিশের দক্ষতা-পরিমাপক কর্ম-মূল্যায়ন ব্যবস্থা
১২. পুলিশের জন্য সিমবিহীন বহুমুখী আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা
১৩. অবস্থান চিহ্নিতকরণ ও লাইভ-ফটো ম্যাচিং সুবিধাসহ পুলিশের ডিজিটাল হাজিরা।