গ্র্যামিতে ইতিহাস গড়লেন বিয়ন্সে

0
81
টেলর সুইফট ও বিয়ন্সে
টেলর সুইফট ও বিয়ন্সে

গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করলেন বিয়ন্সে। গ্র্যামির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার ট্রফি জেতা নারী এখন তিনি। সব মিলিয়ে ২৮টি পুরস্কার এসেছে তার ঘরে। এর মাধ্যমে আমেরিকান ব্লুগ্রাস গায়িকা অ্যালিসন ক্রাউসকে টপকে গেলেন তিনি।

বিশ্বসংগীতের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার গ্র্যামির ৬৩তম আসরে সর্বাধিক ৯টি শাখায় মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিয়ন্সে। এর মধ্যে চারটি পুরস্কার জিতেছেন তিনি। সর্বাধিক ট্রফি গেছে তার হাতেই। আসরের চতুর্থ পুরস্কার গ্রহণের পর তার মুখে শোনা যায়, ‘আমি বেশ সম্মানিত বোধ করছি। আমি অনেক উচ্ছ্বসিত।’

গত বছর ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের সময় বিয়ন্সে বের করেন ‘ব্ল্যাক প্যারেড’। কৃষ্ণাঙ্গদের শক্তি ও প্রাণোচ্ছ্বল মনোভাব নিয়ে সাজানো গানটি জিতেছে সেরা রিদম অ্যান্ড ব্লুজ পারফরম্যান্স পুরস্কার। তিনি বলেন, ‘একজন শিল্পী হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, সময়ের প্রতিফলন ঘটানো আমার দায়িত্ব এবং একটি কঠিন সময়ে এটি তৈরি হয়েছে। এর মাধ্যমে সমস্ত সুন্দর কৃষ্ণাঙ্গ রাজা-রানিদের উত্সাহ দিতে ও তাদের উদযাপন করতে চেয়েছি যারা আমাকে ও সারাবিশ্বকে অনুপ্রাণিত করেন।’

গ্র্যামির এবারের আসরে আরেকটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের অংশীদার হয়েছেন বিয়ন্সে। মেগান দি স্টালিয়ন প্রথম নারী র‌্যাপার হিসেবে ‘স্যাভেজ (রিমিক্স)’ গানের সুবাদে সেরা র‌্যাপ সং পুরস্কার পেয়েছেন। হাউস্টনের এই গায়িকার হাতে আরও উঠেছে সেরা র‌্যাপ পারফরম্যান্স স্বীকৃতি। এছাড়া সেরা নবীন শিল্পী হয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে ব্রেন টিউমারে মারা যাওয়া মাকে পুরস্কারটি উৎসর্গ করেন ২৬ বছর বয়সী এই গায়িকা।

‘স্যাভেজ (রিমিক্স)’ গানে অতিথি শিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দেওয়ার সুবাদে বিয়ন্সে দুটি ট্রফি পেয়েছেন। ‘ব্রাউন স্কিন গার্ল’ গানের জন্য সেরা মিউজিক ভিডিও পুরস্কার উঠেছে তার হাতে। এতে তার সঙ্গে অংশ নিয়েছেন মেয়ে ব্লু আইভি, আমেরিকান র‌্যাপার সেন্ট জন ও নাইজেরিয়ান গায়ক উইজকিড।

বিয়ন্সে আর আমেরিকান সংগীত প্রযোজক কুইন্সি জোন্সের গ্র্যামির সংখ্যা এখন সমান (২৮)। তাদের সামনে আছেন কেবল ৩১টি গ্র্যামি জেতা হাঙ্গেরির ক্লাসিক্যাল কন্ডাক্টর স্যার গেওর্গ সরতি।