গোপালগঞ্জে-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ভুলু

0
28
গোপালগঞ্জে-১ আসনে
গোপালগঞ্জে-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ভুলু

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জে-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করতে চান একজন সফল উদ্যোক্তা,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক এম. আনিসুল ইসলাম ভুলু মিয়া।

তিনি গোপালগঞ্জ-১ আসনে মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী এলাকা হতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে এই অঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষের আর্থিক-সমাজিক উন্নয়ন, বেকারত্ব দুরে ব্যাপক ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জনগণকে প্রতিশ্রুতি ও আশ্বস্ত করেছেন।

গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ঝুটিগ্রাম নিজবাড়ীতে ১৫ জানুয়ারী বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এম,আমিনুল ইসলাম ভুলু মিয়া গোপালগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

ইতিমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় তিনি ব্যাপকভাবে গণ-সংযোগ ও ঘরোয়া মিটিং করে চলছেন। এলাকায় প্রথমবারের মত তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতার ঘোষনা দেয়ায় জনগণের মধ্যে তাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। মুকসুদপুর কাশিয়ানীর সকল শ্রেণী পেশার মানুষ তাকে গ্রহন করে নেবে এমনটি প্রত্যাশা তার। তিনি এ এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যেই নিয়মিত ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।

এম.আনিসুল ইসলাম ১৯৫৯ ইংরেজি সালের ১৬ই মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ঝুঁটিগ্রামের একটি সম্মানিত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবারটি দীর্ঘ ঐতিহ্যের অধিকারী।

তার প্রপিতামহ মতিউল্লাহ মিয়া ছিলেন ১৮৯৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টের একজন সম্মানিত আইনজীবী। এ ঐতিহ্যবাহী পারিবারিক পরিবেশ তাকে শৈশব থেকেই নেতৃত্ব ও সেবার প্রতি অনুপ্রাণিত করেন। এম.আনিসুল ইসলাম ১৯৮১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্রজীবনে ছাত্র রাজনীতিতে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

তিনি এই সময়ে আদর্শিক নেতৃত্বের মাধ্যমে নিজের পরিচিতি গড়ে তোলেন। পেশাগত জীবনে শিক্ষাজীবন শেষে তিনি পেশা-জীবন শুরু করেন গার্মেন্টস শিল্পের মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে তিনি প্যাকেজিং শিল্পে ব্যবসা শুরু করেন এবং নিজেকে একজন প্রথিতযশা উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।

তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান বেওভারসিজ ট্রেড কনসোর্টিয়াম লিমিটেড এবং বেইন্টারন্যাশনাল আন্তর্জাতিক মানের ব্যবসা পরিচালনা করে। তার নেতৃত্বে কোম্পানি একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে। তার ব্যবসায়িক সাফল্যের মূলমন্ত্র হলো কঠোর পরিশ্রম, দূরদর্শী পরিকল্পনা এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির প্রতি তার অঙ্গীকার।

বেওভারসিজ ট্রেড কনসোর্টিয়াম লিমিটেড এবং বেইন্টারন্যাশনাল তার প্রতিষ্ঠিত দুটি প্রতিষ্ঠান,যা আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিং এবং বাণিজ্য খাতে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। তার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন বিদেশি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি থেকে ব্যবসায়িক পুরস্কার লাভ করেছে।

তিনি বিশ্বাস করেন,ব্যবসা শুধুমাত্র মুনাফার জন্য নয়,সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।পরিবারিক জীবনে এম.আনিসুল ইসলাম ভুলু মিয়া পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। পারিবারিক ভাবে তাঁরা ছয় ভাই-বোন।

তার পিতা মরহুম নজিবর রহমান তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পুলিশ বিভাগে কর্মরত থেকেই কর্মজীবন শেষ করেন। তার জ্যেষ্ঠ ভাই এম. আমিনুল ইসলাম একজন সিএসপি কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ভুটান,
লিবিয়া এবং কানাডায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সুদীর্ঘ উল্লেখযোগ্য কর্মজীবনের মধ্যে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

গোপালগঞ্জ জেলাসহ মুকসুদপুর উপজেলা পর্যায়ে সাধারণ জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখেন এম. আনিসুল ইসলাম। তিনি স্থানীয় উন্নয়ন,শিক্ষা এবং যুবসমাজকে দক্ষ করে তোলার বিভিন্ন উদ্যোগে সাথে তিনি জড়িত রয়েছে। তার নেতৃত্ব শুধু তার পেশাগত জীবনে নয়,সমাজেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

কেএম আবু বক্কর –
(সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার)