গোপালগঞ্জে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে স্কু ল ছাত্রের প্রাণ নিল আরেক স্কু ল ছাত্র

0
5

গোপালগঞ্জে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে স্কুল ছাত্রের প্রাণ নিল আরেক স্কুল ছাত্র। রেকেট দিয়ে পিটিয়ে ও রেকেটের রড ঢুকিয়ে স্কুল ছাত্র ইয়াছিন শেখকে (১২) হত্যা করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের বরইহাটি গ্রামের বড়বাড়ির পাশের বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ১ টার দিকে ওই শিক্ষার্থী মারা যায়।

সেখানে পোস্টমর্টেম শেষে আজ বুধবার গ্রামের বাড়িতে ইয়াছিনের মরদেহ আসবে বলে পুলিশ জানিয়েছে । হত্যাকান্ডের শিকার ইয়াছিন বরইহাটি বড়বাড়ি গ্রামের আশরাফ আলী শেখের ছেলে ও বরইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র।

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অভিযুক্ত রিফাত শেখ একই গ্রামের জামাল শেখের ছেলে ও বরইহাটি আইডিয়াল হাই স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বরইহাটি আইডিয়াল হাই স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র রাব্বী শেখ বলেন, রিফাত শেখ সহ ৪ জন ব্যাডমিন্টন খেলছিলাম। পোশে বসে ইয়াছিন সহ ৩/৪ জন বাডমিন্টন খেলা দেখছিল। খেলায় রিফাত শেখ হেরে যায়। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ইয়াছিনের নতুন স্যান্ডেলে ধুলাবালি ছিটিয়ে দেয় ।

এতে ইয়াছিন ক্ষিপ্ত হয়ে রিফাতকে ঘুষি মারে । এক পর্যায়ে রিফাতের হাতে থাকা রেকেট দিয়ে তাকে আঘাত করে । রেকেট ভেঙ্গে গেলে রেকেটের রড দিয়ে কোপ দেওয়া । রেকেটর রড কানের নিচ দিয়ে ভেদ করে ঘার দিয়ে হয়ে যায়। এতে ইয়াসিন মারাত্মক আহত হয়।

মুকসুদপুর উপজেলার সিন্ধয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আলমগীর হোসেন বলেন, ব্যাটমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। রেকেট দিয়ে আঘাত করার পর তা ভেঙ্গে যায়। পরে রেকেটের রড কানের নিচ দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। প্রথমে তাকে মাদারীপুর উপজেলার রাজৈর হাসাপাতালে নেওয়া হয়।

সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রচন্ড রক্তক্ষরণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ১ টার দিকে ইয়াছিনের মৃত্যু হয়েছে । সেখানে পোস্টমর্টেম শেষে মরদেহ গ্রামে আনা হবে । এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া এঘটনার সাথে জড়িতকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।তবে ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা ।

ইয়াছিনের ফুফু নাজমা বেগম ও চাচা দেলোয়ার শেখ বলেন, এটি একটি মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ঘটনা । এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি । এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিকাল সাড়ে ৪ টা ইয়াছিনের মরদেহ গ্রামে এসে পৌঁছায়নি। মরদেহ পৌছানোর পর যানাজা শেষে মায়ের কবরের পাসে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন ইয়াছিনের চাচা দেলোয়ার শেখ।

কেএম আবুবক্কার
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্ট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.