গোপালগঞ্জের বড় বাজারে যাতায়াতের একমাত্র সংযোগ সড়ক ও ফুটপাত দখল করে অস্থায়ী অবৈধ দোকানপাট স্থাপনে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করছে।
যানজট নিরসনে বিগত সরকারের আমলে বড় বাজারের পুরাতন জরাজীর্ণ চান্দি ঘরগুলো অপসারণ করে সেখানে বেশ কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করে গোপালগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নতুন ওই ভবনে দোকানপাট বরাদ্দ নিয়ে ইতোমধ্যেই ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে চলেছেন। নতুন আধুনিক ওইভবনের নীচতলায় যদিও বা মাছ বিক্রির জন্য পর্যাপ্ত ঘর রয়েছে, তা থাকা সত্ত্বেও কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বড় বাজারের ওই সংযোগ সড়ক ও ফুটপাতে মাছের দোকান বসানোর ফলে একদিকে ক্রেতা সাধারণের বাজারে আসা-যাওয়া এবং পণ্য কিনে রিক্সা-ভ্যান যোগে বাড়িতে ফিরতে প্রচুর ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে বড়বাজার এলাকায় গিয়ে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এসময় ওই সড়ক ব্যবহারকারী একাধিক সাধারণ ক্রেতা, পথচারী ও মালামাল বোঝাই রিক্সারোহীরা প্রশাসনের নিকট ব্যস্ততম ওই সড়কে অবৈধভাবে বসানো অস্থায়ী মাছবাজার ও দোকানপাট অপসারণ চান। এসময় তারা গণমাধ্যমকর্মীদেকে জনদুর্ভোগ এড়াতে দ্রুত প্রতিবেদন প্রকাশ করার অনুরোধ জানান।
জানা গেছে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের যৌথ অভিযানে ক্ষণিকের জন্য সড়কটি ফাঁকা হলেও অভিযান শেষে পুনরায় ওই সংযোগ সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধ দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে বড় বাজারে বৈধ দোকানপাট নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করা একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আক্ষেপ করে বলেন, বড়বাজারের ওই সড়কে প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত অবৈধভাবে দখল করে মাছবাজার বসানোর ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রয়োজনীয় মালামাল কিনে তা হাতে করে বয়ে নেওয়ার ভয়ে আমাদের নিকট সাধারণ ক্রেতারা খুব একটা আসেন না। আমরা গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন সহ পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট বড়বাজারের সংযোগ সড়ক ও ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা মাছ বাজার সহ সকল অবৈধ দোকানপাটের স্থায়ী উচ্ছেদ চাই।
মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করলেও অসাধু ওই সকল ব্যবসায়ীরা মালপত্র নিয়ে দূরে চলে যায়, অভিযানের লোকজন চলে যাওয়ার পরে আবার তারা ওখানে দোকানপাট বসায়। ওদের জন্য আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারছি না। প্রতিদিন আমরা প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক স্যারের নিকট আমরা এর পরিত্রাণ চাই।
কে এম আবু বক্কার
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার