গাজীপুর মহানগরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বড়বাড়ি এলাকায় পেট্রোল পাম্পে সিলিন্ডারবাহী গাড়িতে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ সর্বশেষ ব্যক্তি আনোয়ার হোসেন (৩০) মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় আহত সকলের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন। আনোয়ার হোসেন ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানার মো: আয়জুল ইসলামের ছেলে।
ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, আনোয়ারুলের শরীরে ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। শ্বাসনালীও পুড়ে গিয়েছিল তার। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দিবাগত রাতে তার মৃত্যু হয়।
আনোয়ারের বোন জানান, গাজীপুরের গাছা কলম্বিয়া এলাকায় স্ত্রী লাকি ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন আনোয়ারুল। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করতেন।
দুর্ঘটনার পর দগ্ধ আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, তিনি ও আল-আমিন গাছা এলাকার ‘ফাহিম বয়লার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করতেন। ডিজেলচালিত একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ে বড়বাড়ি এলাকার হাজী ওয়াহেদ ফিলিং স্টেশন যান তারা। ভ্যানটিতে আনুমানিক দেড় শ’ খালি সিলিন্ডার ছিল। সেগুলোতেই পাম্প থেকে গ্যাস নেয়ার কথা ছিল। গ্যাস নেয়ার শুরুতেই বিকট এক বিস্ফোরণ ঘটে। এতে গাড়িতে থাকা পাঁচজনই দগ্ধ হন।
গত ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় গাজীপুর গাছা বড়বাড়ি এলাকায় হাজী ওয়াহেদ ফিলিং স্টেশনে একটি কাভার্ডভ্যানে অবৈধভাবে গ্যাস নেয়ার সময় বিস্ফোরণ হয়। এতে পাঁচজন দগ্ধ হন। পরে তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এর আগে এই ঘটনায় মারা যান আতিকুল ইসলাম মিঠু, পারভেজ, আল-আমিন ও টুটুল।