কোভিডে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ লাখ ৬৩ হাজার।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ভারতে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৯ কোটি ৮৯ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪২ লাখ ৩৯ হাজার।
সোমবার (২ আগস্ট) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ হাজার ২৪৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমেছে দেড় হাজারের বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৯২ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৬৬ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৮৯ লাখ ৭৩ হাজার ৩১২ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৬০৪ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৭৩৮ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৫ হাজার ৭২৩ জনের।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ভারতে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪২৪ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৭৮৪ জন। এদিকে সারা বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ১৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬৮ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ২৪ হাজার ৮০৮ জন।
এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬১ লাখ ৪৬ হাজার ৬১৯ জন, রাশিয়ায় ৬২ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৭ জন, যুক্তরাজ্যে ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ৬৬৭ জন, ইতালিতে ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৪৮ জন, তুরস্কে ৫৭ লাখ ৪৭ হাজার ৯৩৫ জন, স্পেনে ৪৪ লাখ ৪৭ হাজার ৪৪ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ৭৮ হাজার ২৭৬ জন এবং মেক্সিকোতে ২৮ লাখ ৪৮ হাজার ২৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।