
এবার কারিশমা কাপুর তার বিয়ে আর বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাফ জানালেন, কেন তিনি ১৩ বছরের দাম্পত্যের পর বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
কারিশমা জানান, বিয়ের পরদিন থেকেই তার স্বামী সঞ্জয় কাপুর এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার ওপর মানসিক অত্যাচার করতে শুরু করেন। শুধু তাই নয়।
কারিশমা বলেন, মধুচন্দ্রিমার রাতে তার স্বামী তার বন্ধুর শয্যা সঙ্গিনী হওয়ার প্রস্তাব দেন। কারিশমা জানতে পারেন, স্বামী শুধু এ ভয়ঙ্কর প্রস্তাব দিয়েই থেমে যাননি। তিনি ওই বন্ধুর কাছে কারিশমা মূল্য নির্ধারণ পর্যন্ত করেছেন। কারিশমা কাপুর এ প্রস্তাবে রাজি না থাকায় সঞ্জয় তার ওপর শারীরিক অত্যাচার আরম্ভ করেন।
কারিশমা আরও জানান, বিয়ের পর সঞ্জয় তার আগের স্ত্রীর সঙ্গে শুধু যে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন তাই নয়। তাদের মধ্যে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্কের বিরুদ্ধে বলতে গেলেও কারিশমা সঞ্জয় নানাভাবে অত্যাচার করতেন।
২০০২ সালে অবশেষে সন্তানদের কথা ভেবে কারিশমা দিল্লি থেকে মুম্বাই চলে আসার সিদ্ধান্ত নেন এবং বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। মুম্বইয়ের আর এক সংবাদমাধ্যমকে কারিশমার স্বামীর বিষয় বলতে গিয়ে তার বাবা রণধীর কাপুর বলেছিলেন, সঞ্জয় একেবারেই নিম্ন শ্রেণির মানুষ ছিলেন। হিংস্রতা ছাড়া ওর মধ্যে আর কোনো গুণ ছিল না।
নব্বইয়ের দশকে রুপালি পর্দা কাঁপানো কারিশমার প্রথম ছবি ‘প্রেম কয়েদি’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯১ সালে। এর পর থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।