কানাডায় তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

0
37
কানাডায় তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
কানাডায় তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

কানাডার ৪৪তম জাতীয় নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো জয়ী হয়েছে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি। ভোটে জয়ের খবরে এক বক্তব্যে জাস্টিন ট্রুডো একে ‘ক্লিয়ার ম্যান্ডেট’ বলে উল্লেখ করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। 

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি ১৫৬টি আসনে হয় এগিয়ে রয়েছে না হয় জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে ট্রুডোর প্রধান প্রতিপক্ষ এরিন ওটুলের কনজারভেটিভ পার্টি ১২২টি আসনে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

সংসদের ৩৩৮টি আসনে ভোটার দুই কোটি ৭০ লাখ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। চলছে গণনা। এবার মেইলের মাধ্যমেও বহু ভোট পড়েছে।

কানাডায় এবারের নির্বাচনে দেশটির পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সের ৩৩৮ আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২ হাজার ১০ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দলের প্রার্থী ১ হাজার ৯১৯ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৯১ জন।

২০১৫ সালে কানাডার সাবেক জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী পিয়ের ট্রুডোর ছেলে জাস্টিন ট্রুডো বিপুল ভোটে জিতেছিলেন। চার বছর পর ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আবার জিতেছিলেন ঠিকই, কিন্তু আসন সংখ্যা সেসময় অনেক কমে যায়। ২০০১ সালে ইউনিভার্সিটি পার্টির কিছু ছবি সেসময় সামনে আসার ফলে আধুনিক, বৈষম্য বিরোধী নেতা হিসাবে তার ভাবমূর্তি ধাক্কা খায়।

তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

২০১৯ সালের নির্বাচনের পর পরবর্তী নির্বাচনটি ২০২৩ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঘোষণা দেন ট্রুডো।

নির্বাচনে জয়লাভের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় জাস্টিন ট্রুডো কানাডা ও দেশের নাগরিকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। টুইটে তিনি বলেন, ‘লিবারেল পার্টির ওপর বিশ্বাস রাখা এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বেছে নিতে ভোট দেওয়ায় কানাডার নাগরিকদের ধন্যবাদ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা করোনা মহামারির বিরুদ্ধে চলমান লড়াই শেষ করতে যাচ্ছি। সকলকে সঙ্গে নিয়ে আমরা কানাডাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবো।’

এদিকে মঙ্গলবার ট্রুডো স্বীকার করেছেন যে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় তাকে অন্য দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। অর্থাৎ গতবারের মতো এবারও সরকার চালাতে বা দেশ শাসন করতে তাকে বিরোধী আইনপ্রণেতাদের ওপর নির্ভর করতে হবে।