স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যেসব পুলিশ সদস্য এখনো কর্মস্থলে যোগদান করেননি, তাদের আর যোগদান করতে দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেওয়া হবে।
নিশ্চয়ই তাঁরা কোনো অপকর্মে জড়িত, এ কারণে কাজে যোগদান করছেন না। এমন পুলিশ সদস্যের সংখ্যা নগণ্য। তাঁদের বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
আজ বুধবার সকালে গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার একাডেমিতে আয়োজিত কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘খবই কম সংখ্যক পুলিশ এখনো কাজে যোগ দেয়নি। আমরা তাদের ব্যাপারে তথ্য অনুসন্ধান করছি। আপনারাও তাদের সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকলে আমাদের জানাতে পারেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকার পতনের পর বাংলাদেশ আজ নবজাগরণে উজ্জীবিত। বিগত সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের হতে পারেনি বলেই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচার সরকার দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে।
এই গণঅভ্যুত্থানে আত্মাহুতি দিয়েছে আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ইয়ামিন ও ফাইয়াজদের মতো হাজারো ছাত্র-জনতা। আপনাদের কাছে আমার চাওয়া, দেশ ও জনগণের কল্যাণে আপনারা নিজেদের সপে দিয়ে সততা, নিষ্ঠা ও ন্যায্যতার মাপকাঠিতে কাজ করবেন। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, ইনশাআল্লাহ।’
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ সৃষ্টির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে স্বাধীনতার পরবর্তীতে দেশের প্রতিটি জরুরি মুহূর্তে আনসার বাহিনীর সদস্যগণ গভীর দেশপ্রেম নিয়ে এগিয়ে এসেছে এবং দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা বিধান-সহ কূটনৈতিক এলাকার সুরক্ষায় এ বাহিনী বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক, আনসার ও ভিডিপি একাডেমির ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট, উপ মহাপরিচালকবৃন্দ, বাহিনীর পরিচালকরাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।