গোপালগঞ্জে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের এইচ.এস.সি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাফি ইসলাম শহরের চৌরঙ্গী ইউসিবি ব্যাংক লি. জেলা শাখা থেকে ইউলটিলি বিল প্রদান করে বের হলেই একদল কিশোর গ্যাং তাকে দেশিও অস্ত্র ঠেকিয়ে জোর করে ধরে নিয়ে যায় শহরের মোহাম্মাদপাড়া এলাকার রেশমির চায়ের দোকানে পূর্ব-দক্ষিণ পার্শ্বের নির্মাণাধীন এক ভবনে।
ওখানে নিয়ে ওরা ভুক্তভোগীর কাছে থাকা মোবাইল ফোন, পকেটে থাকা টাকা ও চশমা নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে। রাফির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা পালিয়ে যায়।
পরে এলাকাবাসীরা অচেতন অবস্থায় আহত রাফিকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে রাফির বাবা নিজে বাদি হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রহিজ মুন্সির ছেলে আলহাজ মুন্সী, ছামি, শিক্ত, সজীব, সাফি সহ আরো ৪/৫ জন ব্যাংক থেকে বের হয়ে রাস্তায় অসার পর দেশিও অস্ত্র ঠেকিয়ে রাফিকে মোহাম্মাদ পাড়ার ওই নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে যায়। ওখানে তাকে তারা বেধড়ক মারপিট করে। এর এক পর্যায়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
রাফির চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ছুটে আসলে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা ওকে রেখে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় প্রায়ই কিশোর গ্যাংয়েরে এই চক্রটি লোকজন ধরে এনে মারধর করে। নেশাগ্রস্ত এই গ্যাং নেশার টাকার জন্য এই সকল অপকর্ম করে বেড়ায়।
এদের এই পরিস্থিতির জন্য ওদের পরিবারকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী। এই কিশোর গ্যাং ছাড়াও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় এদের উৎপাতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ ও দোকান ব্যবসায়ীরা। শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে, সন্ধ্যার পরে মডেল স্কুলের ভিতরে, গোপালগঞ্জ নবীনবাগ, হাসপাতালের সামনে, সোনাকুড় ও বর্নি যাওয়ার বিশ্বরোড রাস্তার মাথায়, শেখ রাসেল শিশু পার্কের আশপাশ দিয়ে এদের আড্ডাস্থল।
বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে কিশোর গ্যাং এর বেশির ভাগ দমে গেলেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সমাজের নর্দমা যুক্ত কিছু পরিবারের বখে যাওয়া সন্তানেরা এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে বেড়াচ্ছে। এদেরকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করে উপযুক্ত বিচারের ব্যবস্থা না করলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের কোনো অঘটন ঘটতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী ও সচেতন মহল। প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।
কে এম আবু বক্কার