করোনা মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ভুল পথে হাঁটছে

0
37
করোনা মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ভুল পথে হাঁটছে
করোনা মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ভুল পথে হাঁটছে

করোনা মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ভুল পথে হাঁটছে বলে মনে করছেন বিশ্বের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের চিকিৎসা বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. অ্যান্থনি ফাউসি। 

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সরকারের উচিত গণটিকাদান কর্মসূচিকে আরও গতিশীল করাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, মাস্ক পরা বিষয়ক বিধিনিষেধ শিথিলের সময় এখনও আসেনি যুক্তরাষ্ট্রে।

সাক্ষাৎকারে ডা. ফাউসি বলেন, `সম্প্রতি গণটিকদান কর্মসূচিতে কিছুটা ঢিলেমি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সম্ভবত, আমরা আত্মতৃপ্তি বোধ করছি এই ভেবে যে, দেশের ৪৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক জনগণকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছি।’

‘যদি এমন হয়ে থাকে, তাহলে বলতে হবে- মহামারী মোকাবেলায় আমরা ভুল পথে হাঁটছি। করোনা এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি এবং বর্তামানে এটি ছড়াচ্ছে টিকা না নেওয়া লোকজনদের মধ্যে। তাই মহামারিকে পরাস্ত করতে হলে টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়ানো এবং দেশের জনগণের অধিকাংশকে টিকার আওতায় আনার কোনো বিকল্প এই মুহূর্তে নেই।’

২০২০ সালে করোনা মহামারী শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসেবে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ কোটি ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৪৬৫ জন এবং মারা গেছেন মোট ৬ লাখ ২৬ হাজার ৬৭২ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ ও চিকিৎসাবিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিডিসি (সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল) সম্প্রতি মাস্ক পরা বিষয়ক বিধিনিষেধ খানিকটা শিথিল করেছে। এক বিবৃতিতে সিডিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে যারা করোনা টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন, তাদের জন্য মাস্ক পরা ‘আবশ্যিক’ নয়।

সাক্ষাৎকারে এই নির্দেশনারও সমালোচনা করেছেন ডা. ফাউসি। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘করোনার অতিসংক্রামক পরিবর্তিত ধরন ডেল্টার প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে এবং গবেষণায় ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে- মূল করোনাভাইরাসের তুলনায় এটি ৬০ শতাং বেশি সংক্রামক ও অনেক সময় টিকার ডোজকে ফাঁকি দিতে সক্ষম।’

‘এ কারণে, যতদিন সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হচ্ছে, ততদিন অন্যান্যরা তো বটেই, যারা টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন, তাদেরও নিয়মিত মাস্ক পরা উচিত। আমার মতে, সিডিসির উচিত মাস্ক পরা বিষয়ক তাদের সাম্প্রতিক নির্দেশনা পুর্নমূল্যায়ন করা।’