এশিয়ার ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকায় তিন বাংলাদেশি

0
55
সালমা সুলতানা, ফেরদৌসী কাদরী ও সায়মা সাবরিনা
সালমা সুলতানা, ফেরদৌসী কাদরী ও সায়মা সাবরিনা

গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় এশিয়ার শীর্ষ ১০০ জন বিজ্ঞানীর তালিকায় বাংলাদেশি তিন নারীর নাম স্থান পেয়েছে। গত সোমবার ‘দ্য এশিয়ান সায়েন্টিস্ট ১০০’ শিরোনামে এ তালিকা প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক সাময়িকী ‘এশিয়ান সায়েন্টিস্ট’।

তালিকায় স্থান পাওয়া বাংলাদেশি নারী বিজ্ঞানীরা হলেন- লাইভস্টক অ্যাডভান্সমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এমএএলএফ) চেয়ারম্যান সালমা সুলতানা, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) ইমিউনোলজি বিভাগের প্রধান ড. ফেরদৌসী কাদরী ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সায়মা সাবরিনা।

তালিকায় স্থান পাওয়া বাংলাদেশিরা হলেন- সালমা সুলতানা, ফেরদৌসী কাদরী ও সায়মা সাবরিনা। তারা বিজ্ঞান ও গবেষণায় আগেও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন।

এশিয়ান সায়েন্টিস্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এবার ষষ্ঠবারের মতো এই তালিকা করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে করোনাভাইরাসের মতো এ বছরের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা মোকাবিলায় ভূমিকা রাখা গবেষক ও উদ্ভাবকদের বেছে নেয়া হয়েছে এবার।

এই ওয়েবসাইটে বিজ্ঞানীদের পরিচয় ও তাদের গবেষণার বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, হংকং, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের বিজ্ঞানীরা এ তালিকায় বেশি এসেছেন।

করোনা মহামারির সংকটময় এই সময়ে মলিকুলার ইমেজিং থেকে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণায় অনন্য ভূমিকা রেখেছেন তারা।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক সাময়িকী ‘এশিয়ান সায়েন্টিস্ট’ ২০১৬ সাল থেকে এশিয়ার মেধাবীদের অর্জনের স্বীকৃতি দিতে এ ধরনের তালিকা প্রকাশ করছে। তালিকায় শুধু সেসব বিজ্ঞানী-গবেষকদের রাখা হয়, যারা সংশ্লিষ্ট বছরে কোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। সেই সঙ্গে কার্যকর কোনো আবিষ্কারেও তাদের ভূমিকা রয়েছে।