রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ভারতের মর্যাদাপূর্ণ বেসামরিক পদ্মশ্রী সম্মাননার জন্য মনোনীত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস নোটে ২০২৪ সালের পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম প্রকাশ করেছে।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এ বছরের পদ্ম সম্মান প্রাপকদের নাম ঘোষণা করে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এ বছর পদ্ম পুরস্কারের তিন বিভাগ ‘পদ্ম বিভূষণ’, ‘পদ্ম ভূষণ’ ও ‘পদ্ম শ্রী’ প্রাপ্ত হিসেবে ১৩২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে পাঁচজন ‘পদ্ম বিভূষণ’, ১৭ জন ‘পদ্ম ভূষণ’ এবং ১১০ জন ‘পদ্মশ্রী’ পদক পাবেন। প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিলে নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের প্রেসিডেন্ট এই সম্মাননা প্রদান করে থাকেন।
এর আগে ২০২০ সালে ভারতের অন্যতম সম্মানজনক বেসামরিক পদ্ম পদক পেয়েছেন দুই বাংলাদেশি। দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘পদ্ম ভূষণ’ পেয়েছেন বাংলাদেশি কূটনীতিবিদ প্রয়াত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘পদ্ম শ্রী’ পেয়েছেন প্রত্নতত্ববিদ এনামুল হক।
বিস্মৃতপ্রায় ঢাকা জাদুঘরকে ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে রূপান্তর করেন জাদুঘর আন্দোলনের পথিকৃৎ এনামুল হক। আহসান মঞ্জিলকে জাদুঘরে পরিণত করার মূল উদ্যোক্তাও তিনি। পাশাপাশি গীতিনাট্য রচনায় পালন করেছেন অগ্রণী ভূমিকা।
২০২১ সালে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক সন্জীদা খাতুন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির বীর প্রতীককে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করে ভারত সরকার।
তারও আগে ২০১৪ সালে সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে পদ্মভূষণ এবং তার আগের বছর সমাজকর্মী ঝর্ণাধারা চৌধুরীকে পদ্ম শ্রী খেতাবে ভূষিত করে ভারত সরকার।
সংগীতে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার পান রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। তিনি রবীন্দ্র সংগীত নিয়ে কয়েকটি বইও লিখেছেন।